ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিচার শুরু

গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল ও চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলায় তাদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য এ দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামি রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব তার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। আদালত অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন এবং সাক্ষীর জন্য আগামী ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন। মামলার অপর আসামি শামিমা নাসরিন পলাতক রয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন শামীমা আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন এবং মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

এর আগে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেন নামে এক গ্রাহক বাদী হয়ে ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাড্ডা থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভ্যালি সম্পর্কে জানতে পারেন। সেখানে ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কম মূল্যে অফার করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাজার মূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দেখতে পান। পরে তিনি ইভ্যালি অ্যাপসের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দুটি মোবাইল নাম্বার দিয়ে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলেন। তিনি নিজের আইডি দিয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। আরেকটি আইডি বন্ধুর নামে খুলে ২৩ লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করেন। তিনি দুই আইডি দিয়ে সর্বমোট ২৮ লক্ষাধিক টাকার অর্ডার করেন বিকাশ/নগদ, ও বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করেন। কিন্তু ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ তার অর্ডার করা পণ্যগুলো নির্ধারিত ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তার অর্ডার করা পণ্যগুলো বুঝে পাননি। এ ব্যাপারে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে। তিনি মোট ২৮ লাখ টাকার অধিক অর্ডার করা পণ্য বুঝে পাননি।

এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা সারাদেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কম মূল্যে পণ্য বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে।

তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস।

আরও পড়ুন...