পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
পাকিস্তানের গত ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে বুধবার মার্কিন কংগ্রেস কমিটি’র পরিচালিত একটি শুনানির সময় এই অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। খবর সামা টিভির।
শুনানিতে লু ‘কেবলগেট’ বা সাইফার কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিত এই ঘটনাকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বলে অভিহিত করেছেন।
এসময় পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, ইমরান খানের অপসারণে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে আমি এই বিষয়ে খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই অভিযোগ, এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মিথ্যা। পাকিস্তানে যেটিকে সাইফার বলা হয়, আমি সে সম্পর্কিত সংবাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছি। এখানকার (ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের) দূতাবাস থেকে কথিত কূটনৈতিক তারবার্তাটি ফাঁস হয়েছে।’
ডোনাল্ড লু আরও বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, এটি যথাযথ নয়। ইমরান খানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অথবা আমার জড়িত থাকার কোরন প্রমাণ নেই।’
এছাড়া ইমরান খানের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত নিজেও স্বীকার করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ডোনাল্ড লু ২০২২ সালের শুরুর দিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মজীদকে ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। পরে সেই বিষয়টি একটি তারবার্তায় (সাইফার) আসাদ মজীদ বিষয়টি ইসলামাবাদে ইমরান খানের সরকারে অবহিত করেন।
তারবার্তা সূত্র ধরে ইমরান খান দাবি করেন, ২০২২ সালে তার সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে। এই বিষয়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে একটি মামলাও আছে।
পরে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তান ও মার্কিন সাংবাদিকেরা বিস্তারিত জানতে চান। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বারবার বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।