পিবিএ, ডেস্ক : ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিনটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও রক্তাক্ত। নাটকীয়ভাবে একটি ইরানি কনস্যুলেটে অগ্নিসংযোগের পর সরকারি বাহিনীর ধরপাকড়ে অন্তত ৪৫ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অঞ্চলটিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপির খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভ আর সংঘর্ষে উত্তাল ইরাক। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সরকারের দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানিয়ে রোববারও বাগদাদের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে ব্যাপক কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছোড়ে নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রতিবাদে রাস্তার পাশে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং গাড়িতে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রাজপথ পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালালে এতে হতাহত হন বেশ কয়েকজন।
একইদিন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়ায় দুটি সেতু অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও গুলি ছোড়ে নিরাপত্তা বাহিনী।
এর আগে, ইরানের কন্স্যুলেট ভবনে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। রাতভর ভাঙচুরের পাশাপাশি ব্যাপক তাণ্ডব চালায় তারা। চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো ইরানি কন্স্যুলেটে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অঞ্চলটিতে কারফিউ জারির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনাসদস্য। উত্তেজনা প্রশমনে মিলিটারি ক্রাইসিস সেল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে ইরাকের সেনাবাহিনী।
গেল পহেলা অক্টোবর থেকে কর্মসংস্থান সংকট দূর করা, সরকারের দুর্নীতি বন্ধসহ সরকারি সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদসহ বিভিন্ন শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। চলমান এ বিক্ষোভে বাগদাদসহ কয়েকটি শহরে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে তিনশ’র বেশি মানুষ।
পিবিএ/জেডআই