পিবিএ ডেস্ক: ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর একের পর এক অবরোধ আরোপ করে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এতে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ইরানের সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা। ওয়াশিংটনের দাবি, ইরানি জনগন নয় সরকারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছেন সাধারণ ইরানিরা।
ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি হাসপাতালে চলছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা। তার স্বজনের দাবি, গত কয়েক মাসে চিকিৎসার খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ। অনেক সময় অধিক মূল্যেও মিলছে না ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী।
মার্কিন অবরোধ শুরুর পর থেকেই অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো নিজেদের চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করে ইরান। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বহু দেশে রফতানি হয় ইরানি ওষুধ। কিন্তু ক্যান্সারসহ বেশ কিছু প্রাণঘাতি রোগের চিকিৎসার জন্য তাদের এখনো নির্ভর করতে হয় পশ্চিমা বিশ্বের উপর। ইরানি চিকিৎসকরা বলছেন, আর্থিক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন অবরোধের কারণে চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি এবং ওষুধ পেতে তাদের নানা বাধার মুখে পড়তে হয়।
এ সঙ্কট শুধুমাত্র ওষুধ খাতেই সীমাবদ্ধ নয়। চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত নানা ধরনের যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রেও ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। ২০১৫ সালে পরমাণু চুক্তি সম্পাদনের পর মার্কিন অবরোধ শিথিল হওয়ার পর বেশ কিছু যন্ত্রপাতি আমদানি করে তেহরান। কিন্তু আবারো নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ায় এসব যন্ত্রপাতি রক্ষনাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাদের।দশকের পর দশক ধরে চলে আসছে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ছায়া যুদ্ধ। এর জন্য এক দেশ অন্যকে দায়ী করলেও সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন খাতে পিষ্ঠ হচ্ছে কেবলমাত্র সাধারণ ইরানিরাই।
পিবিএ/ইকে