ইরান ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি বিক্রি বন্ধ করে দিল

 

রমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ৬০ দিনের সময় বেঁধে দেয়ার পর ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি (হেভি ওয়াটার) বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইরান
ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি বিক্রি বন্ধের ঘোষনা করল ইরান

 

 

পিবিএ ,ডেস্ক: পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ৬০ দিনের সময় বেঁধে দেয়ার পর ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি (হেভি ওয়াটার) বিক্রি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইরান সরকার। আগামী দুই মাস এ দুটি পণ্য বিক্রি করবে না তেহরান।পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ ঘোষণা দেন।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষর করা দেশগুলোকে আমরা পরিস্কার জা নিয়ে দিয়েছি সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়াম ও পানি বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আমরা যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়াকে আলোচনায় ফিরে আসার জন্য ৬০ দিনের সময় দিয়েছি। এ আলোচনায় যদি ইতিবাচক ফল বেরিয়ে আসে এবং তেল ও ব্যাংকিং খাতে ইরানের স্বার্থ নিশ্চিত হয়, তবে তা হলে আমরা সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়াম ও ভারী পানি বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করব।কিন্তু যদি ৬০ দিনের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তা হলে আমাদের পক্ষ থেকে আরও দুটি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইরানের এ সিদ্ধান্তকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার না করার হুশিয়ারি দিয়ে রুহানি আরো বলেন, পরমাণু সমঝোতার অংশীদার পাঁচটি দেশকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি যে, তারা যদি আমাদের এ পদক্ষেপকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ইরানের পরমাণু ইস্যু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলে, তবে তেহরানও অত্যন্ত কঠিন পদক্ষেপ নেবে।

ইরান কখনই যুদ্ধের সূচনা করেনি জানিয়ে রুহানি বলেন, ইরান কখনই যুদ্ধের সূচনা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। তবে কারও তর্জন-গর্জনের কাছেও তেহরান কখনই মাথানত করবে না।

প্রসঙ্গত মার্কিন সরকার ২০১৮ সালের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যায় এবং নভেম্বরে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে। অন্যদিকে ইউরোপীয় দেশগুলো এ সমঝোতা বাস্তবায়নের কথা মুখে বললেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।পারমাণবিক কর্মসূচি হ্রাস করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্তে ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী ৫ সদস্য ও জার্মানির সঙ্গে ইরান জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন নামের চুক্তিতে সই করেছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞায় ইরানি মুদ্রার মূল্যমান কমতে কমতে রেকর্ড সর্বনিম্ন অবস্থানে এসে পৌছেছে। মূল্যস্ফীতি হয়েছে চারগুণ, হাতছাড়া হয়েছে বিদেশি বিনিয়োগ।এর পরও ইরান এতদিন ধরে চুক্তিতে দেয়া সব প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করে আসছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পর্যবেক্ষকরা।২০১৫ সালে চুক্তির পর থেকে এ সংস্থাই তেহরানের পারমাণবিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

পিবিএ/এইচটি

আরও পড়ুন...