পিবিএ ডেস্ক : সিরিয়ায় গত রবিবার সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এরপরই ইরানের ব্রিগেডিয়ার আজি়জ় নাসিরজা়দের এক বিবৃতি পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। ইসরায়েলকে ‘দুনিয়া থেকে মুছে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন তিনি।
দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইরানের গোয়েন্দা বিভাগের দফতর এবং সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রবিবার হামলা চালায় ইসরায়েল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওই হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। তার মধ্যে চারজন সিরিয়ার নাগরিক। এ যাবৎকালের মধ্যে এটাই সিরিয়ায় সবচেয়ে বড় ইসরায়েলি হামলা। রবিবার রাতে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অন্তত ৭০টি জায়গায় ইসরায়েলের বিমানবাহিনী হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোনাথন কনরিকাস আজ বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ায় এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় হামলা। সেখানে ইরানের সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্র ভাণ্ডারই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল।’ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রবিবার ইসরায়েলের ছোড়া ৩০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের হামলা প্রসঙ্গে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, এটি ‘নতুন ধরনের আগ্রাসন’।
সিরিয়ায় বিমান হামলা নিয়ে ইসরায়েল এবং ইরানের দ্বন্দ্ব পরিস্থিতি ক্রমশই উত্তপ্ত করছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের অধিকৃত গোলান হাইটসে রবিবার ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। তারপরই পাল্টা আঘাত হানে ইসরায়েলী বাহিনী। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ নাসিরজ়াদে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের বিমানবাহিনীর নবীন অফিসারেরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। তারা ইসরায়েলকে পৃথিবী থেকে মুছে দিতে চায়।’
ইরানের ওই বক্তব্যকে তেমন গুরুত্বই দেয়নি ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের ওই মন্তব্য পূর্বপরিকল্পিত। তাদের উদ্দেশ্য, ইসরায়েলকে ভয় দেখিয়ে বিমান হামলা থেকে নিবৃত্ত করা। ইরান বসতি এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আচমকা হামলা চালানো হয়েছে এমনটা নয়। এটা পরিকল্পনা মাফিক হামলা ‘ ইসরায়েল সেনাবাহিনীর দাবি, সিরিয়ায় অবস্থিত প্রধান অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা চালানো হয়েছে। সেখান থেকেই সিরিয়া-সহ একাধিক বন্ধু দেশকে এবং হিজবুল জঙ্গি গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ করা হত।
পিবিএ/জিজি
