ইসরায়েলি সেনার গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে দেশটির সেনাদের গুলিতে প্রাণ গেছে তিনজন ফিলিস্তিনির। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নাবুলাস শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা একটি একটি গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে হাতহতের ঘটনা ঘটে।

দেশটির ওয়াফা বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, নাবুলাস শহরে একটি গাড়িতে সরাসরি গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান। নিহতরা হলেন, আশরাফ মুবাস্লাত, আদহাম মাবরুকা ও মোহাম্মদ দাখিল।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনজন ফিলিস্তিনি ওই গাড়িটিতে ছিলেন। হঠাৎ গাড়িটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে এক মিনিটেরও বেশি সময় ধরে গুলি শব্দ পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, যখন তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন তারা দেখেন যে তিনজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ইসরায়েলি সেনার গুলিতে ৩ ফিলিস্তিনি নিহত

এই ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এদিকে, ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার জন্য সরাসরি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটকে দায়ী করছে।

২০২১ সালে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সরকার, পশ্চিম তীরে এক হাজার ৩৫৫টি বাড়ি নির্মাণের কাজ করছে। দুই হাজারের বেশি বাসিন্দা থাকবে সেখানে। গত আগস্টে পশ্চিম তীরে এসব বসতি নির্মাণের অনুমোদন দেয় ইসরায়েল সরকার।

১৯৬৭ সালে ৬ দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় পশ্চিম তীর দখল করে নেয় ইসরায়েল। এর পর থেকে বিভিন্ন দফায় সেখানে বসতি স্থাপন করেছে দেশটি। পশ্চিম তীরে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ ইসরায়েলি ইহুদির বাস। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এটাকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সূত্র: আল-জাজিরা

আরও পড়ুন...