সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইয়েমেনের হাউথি বিদ্রোহীদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অ্যাখা দিয়েছিলেন, এবার তা তুলে নেওয়ার মনস্থ করেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্ক এক ঘোষণায় বলেন, হাউথি গোষ্ঠীর ওপর ট্রাম্পের জুড়ে দেওয়া সন্ত্রাসী তকমা শিগগিরই প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বিষয়টি বাতিল করতে মার্কিন নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদকেও ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ক্ষমতার শেষ মুহূর্তে হাউথিদের সন্ত্রাসী ঘোষণা দেন। সেখানকার যুদ্ধে দেশটির অবস্থা এমনিতেই খুবই নাজুক। এ রকম চলতে থাকলে মানবিক পরিস্থিতিকে আরো ত্বরান্বিত করবে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে অস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্তের একদিন পরই মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এল। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের ‘অপরাধমূলক অভিযান’ আর সমর্থন করবে না জানায় যুক্তরাষ্ট্র। ইয়েমেনে গত ৬ বছর ধরে চলমান যুদ্ধ বন্ধে ওয়াশিংটন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, গৃহযুদ্ধ অবসানে তার প্রশাসন বেশ সচেতন।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরে বাইডেনের প্রথম সফরে কূটনীতিকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা জানান। বলেন, ‘এই যুদ্ধ মানবিক ও বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। এই যুদ্ধের অবসান হতেই হবে।’
জাতিসংঘের হিসেবে, বিশ্বে এই মুহূর্তে সবচেয়ে দুর্ভিক্ষের কবলে রয়েছে ইয়েমন, দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। ইয়েমেনে যুদ্ধে সৌদি জোটের ভূমিকা নিয়ে কৌশলে নীরব ভূমিকা পালন করে আসছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইয়েমেনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর হাদিকে ক্ষমতায় বসাতে সৌদি জোটে বছরের পর বছর হাউথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। এতে ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা চালাচ্ছে তারা। প্রাণ হারিয়েছেন নারী ও শিশুসহ হাজারো মানুষ। স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে ইয়েমেন।