মো: আল মামুন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : রাত পোহালেই ঈদ কিন্ত এবারের পেক্ষাপট সম্পূর্ন ভিন্ন। প্রতি বছরের এই দিনে লাখো যাত্রীদের পদচারনায় মুখরিত থাকতো দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশ পথ শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌ-রুটের ঘাট।
এ ঘাট দিয়েই রাজধানী থেকে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের ঢল নামতো বাড়ি ফেরার জন্য। আর ফেরী ঘাটেও থাকতো হাজারো যানবাহনের সিরিয়াল। ঈদের আগে বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিটিসি, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ আইন-শৃক্ষলা বাহীনিকে দিন কাটাতে হতো নানা ব্যাস্ততার মধ্যে দিয়ে। করোনা ভাইরাসের কারনে এবার বদলে গেছে অবস্থা।
গত ২৩ মার্চ থেকে এ নৌ-রুটের লঞ্চ, সি-বোট চলাচল বন্ধ ও সিমিত পরিসরে ফেরী চলাচল করায় নেই ঘাট গুলোতে সেই আগের মত যাত্রী ও যানবাহনের ব্যাস্ততা।
জেলা পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কসহ ঘাটের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করলেও তাদের কর্মব্যাস্ততা ছিল কম। অপর দিকে নৌ-পুলিশকে দেখা গেছে ঘাট গুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য কাজ করতে। সকালের দিকে ফেরী ঘাটে যাত্রীদের কিছুটা চাপ থাকলেও দুপুর নাগাদ একেবারেই সে চাপ কমে আসে। আর লঞ্চ ঘাট, সি-বোট ঘাটে দেখা গেল নিরবতা।
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায় সকালের দিকে ঘরমুুখো মানুষের কিছুটা চাপ ছিল। রবিবার (২৪ মে) ভোর থেকেই পদ্মা পাড়ি দিতে আসছেন অনেক যাত্রী। ফেরি গুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি না মেনে কিছুটা গাদাগাদি করে যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। সবগুলো ফেরিতেই যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল।
যাত্রীরা ঢাকা থেকে শিমুলিয়া আসছে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে। অনেক জায়গায় পুলিশের চেকপোস্টে যাত্রীদের যানবাহন থেকে নামিয়ে দিলে শিশু বৃদ্ধ ও নারীরা পায়ে হেটে ঘাটে আসতে চরম দূর্ভোগের শিকার হলেও নিরুপায় যাত্রীরা ছিল বাড়ি মুখী।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে যাত্রীরা আসছে শিমুলিয়া ঘাটে। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়কে পুলিশ চেকপোস্টে অনেক যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন থেকে। তবে জনস্রোত থামানো সম্ভব হচ্ছেনা।
তবে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি চলাচল করছে শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে। কিন্ত ফেরিতে যানবাহন থাকায় যাত্রীরাও গাদাগাদি করে ফেরি পার হচ্ছে।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, ৪ টি রোরো, ৫ টি ড্রাম, ৩ টি কেটাইপ ও ২ টি মিডিয়ামসহ মোট ১৪ টি ফেরী চলাচল করছে এ নৌ-রুটে। তবে সকালের দিকে যাত্রীদের চাপ থাকলেও দুপুরের পর থেকে তা একেবারেই কমে আসে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে বর্তমানে ৪টি রো রোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। সকালের দিকে যাত্রীদের কিছুটা চাপ ছিল। ছোট ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে ।
পিবিএ/ মো: আল মামুন/এমএ