পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টার পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্বল্প পরিসরে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের । যদিও টানা কয়েকদিনে তাপপ্রবাহের পর ঈদের দিন সারাদেশে বৃষ্টিপাত হবে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, বিকেল ৫টার পর রাজধানীর প্রায় সব জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি বেশি সময় স্থায়ী না হলেও তাপমাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখবে। ঈদের দিন শুধু রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ার সংবাদ পেয়েছি।
তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার টানা ১৯ দিনের তাপদাহ ও ভ্যাপসা গরমের পর রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি নামে। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে নামা বৃষ্টি রাজধানীকে ভিজিয়ে যায়। এরপর রাতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাপপ্রবাহ সম্পর্কে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
উল্লেখিত সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানা, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় খুলনা বিভাগের যশোরে, ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে ঈদের দিনের স্বস্তির বৃষ্টির কারণে ঘোরাঘুরিতে বাধা পড়েছে। বিকেলে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে বৃষ্টির কারণে আটকা পড়েছেন। এতে কিছুটা কষ্ট হলেও বিরক্ত নন তারা।
সংসদ ভবন এলাকা থেকে মিরপুর এক আত্মীয়ের বাসায় পরিবার নিয়ে যাচ্ছিলেন আল আমিন। বৃষ্টিতে আটকা পড়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি ছাউনিতে। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছে। একটু আগেও আকাশ রোদ ঝলমলে ছিল। আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়ায় বাধা পড়লেও ভালো লাগছে। শীতলতা অনুভব করছি।
তার স্ত্রী মরিয়ম বলেন, বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের যাত্রা কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে তবে ভালোই লাগছে। এতদিনের টানা গরম থেকে তো বেঁচেছি। এটাই ভালো লাগার বিষয়।
সড়কে আজ তেমন যানবাহন নেই। ঢাকা যেন পুরোটাই ফাঁকা। মোটরসাইকেল, রিকশা আর প্রাইভেটকারের আধিক্য দেখা গেছে রাস্তায়।
গাবতলীর দিকে যাচ্ছিলেন আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৃষ্টির প্রত্যাশা এখন সবার। ঈদের দিন বৃষ্টির কারণে হয়ত কিছুটা বাধা পড়েছে। বিকেলেই যেহেতু মানুষ বাইরে বের হয় বেশি। তবে স্বস্তির বৃষ্টি ঈদে নতুন মাত্রা এনে দিল।