ঈদের পোশাক তৈরীতে ব্যস্ত চুয়াডাঙ্গার পোষাক কারিগররা

পিবিএ,চুয়াডাঙ্গা: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিপাড়ার কারিগররা। ঈদ যতো এগিয়ে আসছে ততো চোখের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে দর্জিদের। যারা নিজেদের পছন্দমতো কিংবা একটু ভিন্ন ডিজাইনের ফিটিং পোশাক পরতে পছন্দ করেন তারাই ভিড় করছেন শহরের নামদামি থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন দর্জীর দোকানে।

সরজমিনে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউ মার্কেট, প্রিন্স প্লাজা মার্কেট, বিগবাজারসহ শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে টেইলাস্রের কারিগররা নর-নারীদের পোশাক তৈরিতে চরম ব্যস্ত সময় পার করছে।
আর কয়েকদিন পর ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। তাই ঈদকে সামনে রেখে গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পছন্দের কাপড় তৈরিতে মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শহরের প্রায় কয়েক’শ দর্জি।
এসব দোকান ঘুরে দেখা যায়, এখন তাদের কথা বলার ফুরছিতি নেই। দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে তারা। শার্ট, প্যান্ট, সেলোয়ার কামিজ, ফতুয়া, বিলাউজ, থ্রি-পিছ, পাঞ্জাবি, কামিজসহ বিভিন্ন ধরণের থান কাপড় থেকে পোশাক সেলাই করছেন তারা। শহরের বড় বড় শপিং মলগুলোতে তৈরী পোষাকের যেমন কদর বেশী, তেমনি বাজার ভিত্তিক স্টেশনগুলোর দর্জিবাড়িতে চলছে পোষাক তৈরীর ধুম। শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে সমস্ত টেইলার্সেই ঊর্ধ্বশ্বাসে কাজ করছেন টেইলার্স কর্মীরা।
কিছু কিছু নামিদামী টেইলার্সে নতুন অর্ডার নেয়া বন্ধ করলেও কাজের চাপ তাতে কমেনি। এখন পর্যন্ত যা অর্ডার নেয়া হয়েছে তাই সময়মতো শেষ করতে হিমশিম খাবেন বলে জানাচ্ছেন তারা। যাদের রুচি মূলত বুটিক নিভর্র নয়, তাদের বেশির ভাগই পা পড়েছে দর্জি বাড়ির দরজায়। সেলাইয়ের অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধির পরও ফ্যাশনে নিজস্ব রুচির ছাপ দিতে ভিড় বাড়ছে, দর্জির দোকান গুলোতে।


জামার কাপর কিনতে আসা ফেরদৌস ওয়াহিদ নামের এক কর্মজীবি পিবিএ’কে জানান, প্রতি বছর ঈদে আমি কাপড় কিনে জামা বানাই। কিন্তুু এ বছর যেন জামার কাপড়ে দামও বেশি। আবার দর্জিরাও গত বছর থেকে মজুরি ১০০ টাকা বেশি চাচ্ছে । যদি দাম টা একটু কম থাকে তাহলে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য ভালো হত।
তবে দর্জিরা বলছে , গত বছর থেকে এ বছর প্রচুর অর্ডার আসছে। অর্ডার প্রতি তারা ২০০-৩৫০ টাকা করে মুজুরি নিচ্ছে। এই অর্ডার সময় মতো দিতে অতিরিক্ত কারিগর নিয়োগ করেও বিরতিহীন ভাবে রাতভর পর্যন্ত কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালানো হচ্ছে। ছেলেদের তুলনাই মেয়েদের বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে দর্জিপাড়াগুলোতে।

পিবিএ/টিটি/হক

আরও পড়ুন...