ঈদুল ফিতরের আগে-পরে সর্বমোট ৬ দিন মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রতিবার ঈদকে কেন্দ্র করে যানজটের কারণে যাত্রীদের প্রচুর ভোগান্তি দেখতে পাই। তাই এ বছর ঈদের আগে তিনদিন এবং পরে তিনদিন মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্ধ রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে বনানীতে বিআরটিএর কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে সড়কপথে যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঈদে ট্রাক-ভ্যান বন্ধ থাকলেও প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস মালামাল, ওষুধ জাতীয় পণ্য, জ্বালানি, সার জাতীয় পণ্যের গাড়িগুলো এর আওতামুক্ত থাকবে। অর্থাৎ বাকি সব বন্ধ থাকলেও এগুলো শুধু চলবে।
কাদের বলেন, সড়কে প্রচুর দুর্ঘটনা হচ্ছে, সচিবকে বারবার বলেছি, আমাদেরকে মূল বিষয়গুলোতে হাত দেওয়া দরকার। এখনও সড়কগুলোতে সবচেয়ে বড় উপদ্রব তিন চাকার গাড়ি। আমি সড়কে যখন চলি তখন দেখি তিন চাকার গাড়ি নেই। আবার যখন সড়কে বের না হই, তখনই রাস্তা ভরে যায় তিন চাকার গাড়িতে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জাতীয় সড়কে বাইক নিষিদ্ধ করেছি, কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা আরও বাড়ানো উচিত। ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার’ দিয়ে তো কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। হাইওয়ে ও বিআরটিএর সক্ষমতা বাড়াতে না পারলে যত ভালো সিদ্ধান্ত নিই, কোনো লাভ নেই।
রাজধানী ঢাকায় চলাচল করা লক্কড়-ঝক্কড় গাড়িগুলো বাংলাদেশের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যখন বিদেশিরা বাংলাদেশে আসে এবং আমাদের লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি দেখে, তখন আমাদের খুব লজ্জা হয়। এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। পরিবহন মালিকদের এদিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ঢাকার বাইরে থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ঢাকায় ঢোকে। আমি তো বলব বাইরে থেকে সিটিতে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি কম আসে। বরং সিটিতেই অনেক লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ির কারখানা আছে। আমি সেগুলো নিজের চোখে গিয়ে দেখেছি। ঈদের আগে সেগুলোতে রং লাগাতে দেখেছি, যে রং আবার ১০ দিনও থাকে না।