উত্তরখানে উদ্ধার হওয়া ৩ লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

পিবিএ,ঢাকা: উত্তরখানে উদ্ধার হওয়া একই পরিবারের ৩ জনের লাশ এর বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোহেল মাহমুদ। বেলা ১২ টার দিকে তার বিভাগে তিনি বলেন, ময়না তদন্ত করার পর যে আলামত পেয়েছি সেগুলো কনফার্ম করার জন্য ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক বোর্ড সিন ক্রাইম ভিজিট করেছি। সেখানে অনেক ইনফরমেশন পাওয়া গেছে। বাড়ির দরজা যে ভিতর থেকে আটকানো ছিল এবং পুলিশ তা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিলো সেটা কনফার্ম হয়েছি।

উত্তরখানে উদ্ধার হওয়া ৩ লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোহেল মাহমুদ

এরপর ভিতর ডাইনিং রুমে ফ্লোরে রক্ত পাওয়া গেছে। যার ওপরে কিছু মাছি পরে মরে পড়ে ছিল। ডাইনিং টেবিলে একটি কীটনাশক এর খালি বোতল পাওয়া গেছে এবং এক পাতা ঘুমের ওষুধ পাওয়া গেছে যাতে ২ টি ট্যাবলেট অবশিষ্ট ছিলো। বাকি ৮ টি ট্যাবলেট ছিলোনা।

পাশের আরেকটি রুমে যেখানে মা ও মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে সেই বিছানায় রক্ত পাওয়া গেছে এবং ফ্লোরে কিছু বমি পাওয়া গেছে। এরপর তার পাশের আরেকটি রুমে বিছানায় রক্ত ও বমি আছে। এরপর থানায় গিয়ে জব্দ করা রক্ত মাখা বঠি ও দুটি ছুরি থেকে রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। আর তাতে কারো আঙ্গুলের চিহ্ন আছে কিনা এবং রক্ত, বমি সহ সব আলামত সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হযয়েছে।

ছেলের গলার কাটা চিহ্নটা আত্মহত্যার সামঞ্জস্য নয়। তবে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ, বিষের বোতল পাওয়া সব মিলিয়ে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে রিপোর্টে যদি মায়ের শরীরে বিষের আলামত পাওয়া যায় তাহলে বলা যাবে মা নিজে মেয়ে ও ছেলেকে হত্যা করে পরে সে আত্মহত্যা করেছে। আর যদি তা না পাওয়া যায় তাহলে ছেলেই মা এবং বোনকে মেরে হত্যা করেছে এমনটাই মনে হচ্ছে।

সেনসিটিভ বিষয় হওয়ায় পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি। তবে সাধারনত ১মাসের মত লাগে ময়নাসতদন্তেরপ প্রতিবেদন পেতে।

পিবিএ/এইচএ/আরআই

আরও পড়ুন...