উত্তরায় দম্পতির ওপর হামলা: আরও একজন গ্রেফতার

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মেহেবুল হাসান (৩৭) ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার ইপ্তি (২৮) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানোর চাঞ্চল্যকর ঘটনায় আরও এক হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে আলফাজ হোসেন শিশির (২২) নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর আগে গতকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের এই দম্পতির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নাসরিন আক্তার ইপ্তি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা দুই হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো রবি রায় (২২) ও মোঃ মোবারক হোসেন (২৫)।

মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান।

থানা পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি জানান, উত্তরা পশ্চিম থানার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডের অজ্ঞাতনামা কয়েকজন অস্ত্রধারী এক দম্পতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনায় জড়িত দুই হামলারাকারীকে আটক করা হয়। এ সময় অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ আহত দম্পতিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় নাসরিন আক্তার ইপ্তি বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ভুক্তভোগী দম্পতি ওই এলাকা দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এই সময়ে তিন ব্যক্তি দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে বিকট শব্দ করে দ্রুত গতিতে এলোমেলোভাবে চালিয়ে যাওয়ার সময় একটি মোটরসাইকেল সামনে থাকা একটি রিকশাকে ধাক্কা দিলে ওই রিকশার যাত্রীর সঙ্গে মোটরসাইকেল চালক মোবারক হোসেনের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। ঐ সময় রিকশার পিছনে থাকা এই দম্পতি তাদের ঝামেলা করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাদের মারপিট করতে থাকে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত সজিব মোবাইলে ফোন করে তার সহযোগিদের ঘটনাস্থলে আসতে বলে। আনুমানিক ১০ মিনিট পর ৪/৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত জনসাধারণের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেহেবুল হাসানকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এ সময় নাসরিন আক্তার ইপ্তি তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকেও রামদা দিয়ে আঘাত করে আহত করে।

গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন...