পিবিএ,গোপালগঞ্জ: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহর থেকে গ্রামাঞ্চল এখন সরগরম। তৃতীয় ধাপে গোপালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রতীক সম্বলীত পোষ্টার ছাপাতে ছুটছেন ছাপাখানায়। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার ছাপাখানার মালিক ও কর্মচারীরা। তবে এবার গত নির্বাচনগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
আগামী ২৪ মার্চ গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের দূর্গ হলেও এ জেলায় দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় ও বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও এ নির্বাচনে ৬৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৮ মার্চ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ করা হয়েছে। এরপরই নির্বাচনী প্রচারনার প্রধান অনুসঙ্গ প্রতীক সম্বলিত পোষ্টার করতে ব্যস্ত প্রার্থীরা। প্রার্থীরা কে কার আগে এলাকায় পোষ্টার দিতে পারেন এ প্রতিযোগিতাও রয়েছে।
ফলে জেলার ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক প্রেসে এসব পোষ্টার ছাপাচ্ছেন তারা। শুধু গোপালগঞ্জ জেলাই নয় পার্শ্ববর্তী বাগেরহাটের মোল্লাহাট, চিতলমারী, নড়াইলে কালিয়া, পিরোজপুরের নাজিরপুর, ফরিদপুরের বোয়ালমারীম আলফাডাঙ্গা উপজেলার প্রার্থীরাও এথানে পোষ্টার ছাপাচ্ছেন। ফলে সারা বছর কাজ না থকলেও প্রার্থীদের পোষ্টার করার করনে ছাপাখানাগুলো কর্মচঞ্চল থাকায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাছেন জেলার ছাপা খানাগুলোর শ্রমিকরা। অল্প সময়ের মধ্যে পোষ্টার ডেলিভারী দিতে দিন পার করে রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। সেই সাথে অতিরিক্ত মুজুরি পাচ্ছে তারা।
এদিকে গত দুটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছিল ছাপা খানার মলিকদের।তবে এবার গোপালগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ায় প্রার্থী সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েচে পোষ্টার ছাপার কাজ। যেকারনে লোকাসান কাটিয়ে লাভের আশা করছেন তারা।
এদিকে গত দুটি স্থানীয় সরকার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছিল ছাপাখানার মালিকদের। তবে এবার গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ায় বেড়েছে প্রার্থীর সংখ্যা। ফলে পোষ্টার ছাপানোর কাজ বেশি পাওয়ায় লোকাসান কাটিয়ে লাভের আশা করছেন ছাপাখানার মলিকেরা।
ছাপাখানার কর্মচারী শহীদুল ইসলাম, নাসির খান বলেন, সারা বছর কাজ কম থাকায় আমরা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে থাকি। এবার প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় কাজ ও বেশি। তাই রাত জেগে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। এতে আমরা অধিক মুজরী পাচ্ছি।
শহরের খান প্রিন্টিং প্রেস মালিক জাকির খান জানান, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘটি। এখানে যিনি নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন তিনি নিশ্চিত জয়ী হন। ফলে প্রার্থীর সংখ্যা কম থাকে। তবে এবার আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। বিগত দু’টি স্থানীয় নির্বাচনে পোষ্টারের কাজ কম ছিল। ফলে লোকসান দিতে হয়েছিল। তবে এবার ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হব বলে আশা করছি।
পিবিএ/বিএস/এমএসএম