পিবিএ সিলেট: মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে এক নারীসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় দুইশতাধীক নারী, পুরুষ ও শিশু। মৌলভীবাজারের জেলা পুলিশ রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রাত সাড়ে ১১টায় কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকায় রেলপথের একটি কালভার্ট ভেঙে উপবন এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি খালে পড়ে যায়।
সিলেট আখাউড়া রেলপথের শমশেরনগর স্টেশন সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকগামী রেল আন্তনগর উপবন এক্সপ্রেস বরমচাল স্টেশন অতিক্রম করে কুলাউড়া আসার পথে রেলপথের একটি কালভার্ট ভেঙে পেছনের কয়েকটি যাত্রীবাহী বগি খালে পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারী, বাকি চারজন পুরুষ। তাদের কারও পরিচয়ই জানা যায়নি। লাশগুলো পুলিশের হেফাজতে আছে।
রাশেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানিয়েছে, রাত ২টা পর্যন্ত কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬০ জন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক আঘাত থাকায় ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মাসুম আহমেদ নামে একজন যাত্রী বলেন, তারা ছিলেন রেলের কেবিনে। প্রথমে তারা বুঝতে পারেননি। অনেক সময় আটকে থাকার পর রেল থেকে নেমে দেখতে পান প্রচুর লোকজন। দেখতে পান পেছনের দিকে কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গেছে। তখন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসও আসে। তারা তখন শুনতে পান একাধিক লোক মারা গেছেন। তবে তিনি মরদেহ দেখেননি। আহত হয়েছেন অনেকে। ট্রেনে অনেক যাত্রী ছিল বলে জানান তিনি।
বরমচাল মানবসেবায় রক্তদান সংস্থা নামের এক স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য মন্টু বর্ধন মুঠোফোনে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই শত শত মানুষ আক্রান্তদের উদ্ধারে ছুটে আসে। তিনি এ পর্যন্ত তিনটি লাশ দেখেছেন বলে জানান মন্টু।
পিবিএ/বাখ