পিবিএ ডেস্কঃ যখন একজন রোগী জানতে পারেন তার শরীরে অস্ত্রপচার করতেই হবে,না হলে রোগের হাত থেকে অব্যাহতি মিলবে না তখন চিন্তায় তার কপালে ভাজ দেখা দেয়,শরীর মন দুর্বল হয়ে পড়ে।কারণ অস্ত্রপ্রচার মানেই শরীরের অসহ্য যন্ত্রনা সহ্য করা।সে যে কারণেই হোক বা শরীরের যে স্থানেই হোক না কেন। মা যখন সন্তানের জন্ম দিতে অপারেশন থিয়েটারে যান তখন ও আনন্দের সাথে সাথে যন্ত্রণার ভয়টা কিন্তু মনের কোণে থেকেই যায়।
এই যন্ত্রণার হাত থেকে কি মুক্তি নেইঃ কিছুই কি করতে পারেন না চিকিৎসকরা? অনেক অপেক্ষার পর এবার হয়তো এই ব্যাথার হাত থেকে অব্যাহতি মেলার সময় এসেছে।দীর্ঘ গবেষনার পর চিকিৎসক মহল পেয়েছে এক আশার আলো।যে আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে আর্ত রোগীর জীবন।
শরীরে অস্ত্রপ্রচার চলাকালীন অপারেশন থিয়েটারে একজন একজন অ্যানাস্থেসিওলজস্ট রোগীকে ব্যাথার হাত থেকে অব্যাহতি দিয়ে থাকেন।
তাই যে কোনো অপরেশনে একজন অ্যানাস্থেসিওলজস্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কারণ জ্ঞান থাকাকালীন কেউ অস্ত্র প্রচার এর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারে না।তাই একজন রোগী কে অস্ত্র প্রচারের আগে অজ্ঞান করা হয়ে গেলে যথাসময়ে জ্ঞান ফিরিয়ে তাকে স্বাভাবিক করে তোলা একটা ভীষন গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
তবে এটা লক্ষ্য রাখতে হবে যে ক্যাথিটার এর মুখটা দিয়ে ওষুধ যেন ঠিকভাবে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।এই পদ্ধতিতে অপরেশনের পরে রোগীর শরীরে ব্যাথা তাড়াতাড়ি কমানো সম্ভব। তারফলে রোগীর দ্রুত সেরে ওঠাও সম্ভব হবে। টপনচ এনএস্থেসিয়া জার্নালে ওনার এই কাজ প্রকাশিত হয়। U.S তে ভীষণ হাই সেফটি এনএস্থেসিয়া ব্যবহার করা হয়। তাই সেখানে এনএস্থেসিয়া সংক্রান্ত জটিলতা কম দেখা দেয়।
কিন্তু তা সত্ত্বেও যদি কোনো জটিলতা উপস্থিত হয় তাহলেও তিনি বিশেষভাবে তার সমাধান করেন। যেমন কোনো রোগীর যদি মিরগী রোগ থাকে তাহলে তার এনএস্থেসিয়ার পরোক্ষ প্রভাব হিসেবে সাময়িক অন্ধত্ব আস্তে পারে। অথবা শরীরে যে কোনো অংশে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে ব্যাথা কমানো।তিনি বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে এটা প্রমান করেছেন যে ব্যাথা কমানোর ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে যদি উপোস করে থাকা যায় তা হলে শরীরের ব্যাথা এবং ওজন দুই কমবে।কারণ ব্যাথা র ওষুধ এর পরোক্ষ প্রভাব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।তবে এই উপোস করতে হবে চিকিৎসক এর পরামর্শ মেনে।রুটিন করে খাবার খেয়ে এবং রোজ ব্যায়াম করে শুধু সার্জিক্যাল ব্যাথা নয় সব রকমের ব্যাথাই কমানো সম্ভব।
পিবিএ/এমআর