পিবিএ,কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদ-নদীর চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে ভুট্টার বাম্পার ফলন হতে পারে এমন আশংকা করছে এলাকার কৃষকরা। পোকা,পচন, রোগ বালাই কম থাকার কারনে এবার ভুট্রার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যে সমস্ত জমি গোচারণ বা পতিত ছিল সে সব জমিতে এখন চাষাবাদ হচ্ছে ভুট্রা। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদ-নদীর চরাঞ্চলে চলতি মৌসুমে ব্যাপকহারে চাষাবাদ হয়েছে এবং ফলনও দেখা দিয়েছে ভাল। স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে, সহজ উপায়ে লাভজনক ফসল ভুট্টা চাষে ভুট্টার সম্ভাবনাময় বাম্পার ফলন কৃষকদের মাঝে আশার আলো জাগিয়ে তুলেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর ৩শত ৫৯ হেক্টর জমিতে ২হাজার ৮শত ৭২ মেট্রিক টন ভুট্রা উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। সূত্র জানায়, যেসব জমিতে অন্য ফসল হয় না সে সব জমিতে মাত্র ১২০-১২৫ দিন সময়ে অল্প ব্যয়ে এক বিঘা জমিতে ৩০হাজার টাকার ভুট্রা উৎপাদন করা সম্ভব হয়। উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদ-নদীর চরাঞ্চল কৃষকরা স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে সহজ উপায়ে লাভজনক ফসল ভুট্রা চাষে ঝুকে পড়েছে। বন্যায় বালু জমিতে পলিমাটির আবরণ পড়ায় ভুট্রার সম্ভাবনাময় বাম্পার ফলন কৃষকদের মাঝে আশার আলো হিসাবে দেখা দিয়েছে।
হাতিয়া ইউনিয়নের ভুট্রা চাষী আব্দুল মজিদ বঙ্গবাসী জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এবার ৮একর জমিতে চাষ করেছি আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আশা করি গত বছরের চেয়ে এবার বেশী আয় হবে।
স্থানীয় কৃষিবিদরা জানান, নদী ভাঙনে যেসব কৃষক ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলো। ভুট্রা চাষ করে ওইসব কৃষক আবারো স্বাবলম্বী হয়েছে উঠেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভুট্রা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করার সম্ভবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান,গত বছর বন্যায় বালু জমিতে পলিমাটির আবরণ পড়েছে আশা করি আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলনও ভাল হবে। উপজেলা কৃষি সম্পাসরণ অফিস থেকে পুর্নবাসন কর্মসুচীর আওতায় ৯শত কৃষক-কৃষাণীকে ভুট্রা চাষের জন্য বিনামুল্যে সার ও বীজ দেয়া হয়েছে। চাষীদেরকে ভুট্রা চাষের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগীতা করা হচ্ছে।
পিবিএ/মমিনুল ইসলাম বাবু/এএম