পিবিএ ডেস্ক : কথায় বলে ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’! এখানে গল্পটা একটু অন্য। এখানে ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট টুইট’ বলা যেতে পারে। চলতি ভ্যালেনটাইনস সপ্তাহের মধ্যেই ১০ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করেছেন হর্ষিনী এধীরিসিংহে ও গোবিন্দ। ঘটনাচক্রে হর্ষিনী শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা, গোবিন্দ মধ্যপ্রদেশের। এই দম্পতির বিয়েতে অজান্তেই ঘটকের কাজ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদির একটি টুইট থেকেই দু’জনের সম্পর্কের সূত্রপাত।
মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরের বাসিন্দা, গোবিন্দ মাহেশ্বরী মোদির একটি টুইটে লাইক করেন। ঘটনাচক্রে ওই একই টুইটে লাইক করেন ২৫ বছর বয়সী হর্ষিনীও। ওই লাইক থেকেই হর্ষিনীর প্রোফাইলে ঢুকে পড়েন গোবিন্দ। একটু ঘাঁটাঘাঁটি করেই পছন্দ হয়ে যায় হর্ষিনীকে। টুইটারে শ্রীলঙ্কার এই পাত্রীকে ফলো করা শুরু করেন মধ্যপ্রদেশের গোবিন্দ। ২০১৫ সালে টুইটারে দু’জনের বন্ধুতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে শুরু হয় মেসেজ করা, ভালোবাসার জল আরেকটু গড়িয়ে শুরু হয় ভিডিও কলও। বছর ২ বাদে ২০১৭ সালে অবশেষে একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন এই প্রেমিক যুগল।
কিন্তু ভিন দেশের মানুষকে ভালোবাসতে গেলে ভিন দেশের সংস্কৃতি, যাতে সেই মানুষটি বড় হয়েছেন তা সম্পর্কেও জানতেই হয়। ভারতীয় সংস্কৃতিকে বোঝার জন্য এমনই চেষ্টা করছিলেন হর্ষিনী এধীরিসিংহে। হর্ষিনী তাঁর বাড়িতে জানান, ভারতে ফিজিওথেরাপির কোর্স করতে যেতে চান। এদিকে ২৬ বছর বয়সী গোবিন্দ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক।
হর্ষিনী বলেন, ‘আমরা দু’জন দুই ভিন্ন সংস্কৃতিতে বড় হয়েছি। কিন্তু ভালোবেসেই যখন ফেলেছি, সব আস্তে আস্তে সামলে নেব দু’জনে।’
পিবিএ/জিজি