পিবিএ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া: একটি হুইলচেয়ার পাল্টে দিতে পারে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু রহিম মিয়ার জীবনমান। ছোট বেলা থেকেই দুই পা অচল থাকায় মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে এবং কোন কোন সময় ছোট ভাইয়ের পিঠে চড়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে রহিম।
রহিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সদরের সাহাপাড়া গ্রামের রিকশা চালক মোঃ শরীফ মিয়ার ছেলে এবং বড্ডাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
মা রহিমের মা মোছাঃ সুমি বেগম পিবিএ’কে জানান, প্রতিবন্ধী হলেও রহিম পড়ালেখায় মনোযোগী। বই-খাতা ব্যাগে নিয়ে মাটিতে হাপুড় কেটেই সে স্কুলে যায়। অনেক সময়ে প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট ভাই ফাহিমের পিঠে চড়েও স্কুলে আসা-যাওয়া করে বড় ভাই রহিম। তারা চার ভাইয়ের মধ্যে রহিম সবার বড়। অভাব অনটনের সংসার তাই তার চলাচলে একটি হুইলচেয়ার কিনে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বাবা শরীফ মিয়া পিবিএ’কে জানান, তিনি প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে যেই টাকা রোজগার করেন তা দিয়ে সংসার চালানোই কষ্ট হয়ে পড়ে। বড় ছেলে রহিমের চলাচলের জন্য একটি হুইল চেয়ার কেনার বহুবার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
প্রতিবন্ধি রহিম পিবিএ’কে জানায়, একটি হুইল চেয়ার হলে তার চলাফেরায় ভালো হয়। মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে ও ছোট ভাইয়ের পিঠে চড়ে স্কুলে যাওয়া-আসায় তার কষ্ট হয় এবং এতে সে লজ্জাবোধ করে।
বড্ডাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমিত্রা রাণী তলাপাত্র পিবিএ’কে জানান, রহিম মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসে। সে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার পরই রহিমের জন্য একটি হুইল চেয়ার চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পিবিএ/এআই/হক