তানহা তাবাসসুম : যে নারীর মনের দুয়ার শক্ত। তার ভেতরটা কাঁদার মত নরম। একবার কষ্ট করে ঢুকতে পারলে। ঐ নারীর মনের রাজত্ব আপনার। আপনি ইচ্ছে হলে তাকে রানি ; আবার ইচ্ছে হলেই রমণী বানাতে পারবেন। এটা আমার মত অনাভিজ্ঞের কথা না। এসব লাইনে যারা অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ, তাদের কথা…
আবার যে নারীর মনের দোয়ার খোলা। সে নারীর অন্তকরণ জটিল। ইচ্ছে হলেই ঢুকতে পারবেন। কিন্তু রাজত্ব করতে পারবেন না। যত সহজে আপনি ঢুকবেন। তার চেয়ে বেশী সহজে আপনাকে বের করে দেবে। হ্যাঁ, সান্ত্বনার একটি বাণীও পাঠাবে – ” পুতুপুতু, তোমাকে ছাড়তে কষ্ট হচ্ছে হোক। আমি বহুত কিছু ছাইড়া আসা লোক। Bye forever…. (Block)
ইউরোপ-আমেরিকার জনসাধারণের মাঝে COVID-১৯-এর প্রবেশাধিকার উম্মুক্ত নয়, কষ্টসাধ্য। তারা সচেতন। তাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাঁদের পেট, বাঙ্গালিদের পেটের মত একেকটা বিষের বাক্স না । বাঙালি যেমন করোনা গিলে, বিষ দিয়ে মেরে, পশ্চাৎ দিয়ে বের করে দিচ্ছে। ওরা তেমন না। ফলে ক্ষতিটা ওদের বেশিই…
তাদের কেও অনেক বাঙালিদের মত মাঠে হেগে, জমির আইলে ছেঁচড় দিয়ে শৌচ কার্য সম্পাদন করেনা। প্রথমে টিস্যু, এরপর পানি, এরপর হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোঁয়। বাঙালি যেহেতু হাতের ব্যবহারই করেনা। সুতারং হাত ধোঁয়ার প্রশ্ন বিলাসিতা। আর পানির অপচয়ের তো প্রশ্নই আসেনা…
ধর্মে আছে- ” অপচয় কারী শয়তানের ভাই।”
বাঙালি যেদিন থেকে মায়ের দুধ বাদে অন্য খাবার খাওয়া শিখেছে। সেদিন থেকেই। চালে- আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম। সবজিতে কীটনাশক। মাছে ও দুধে- ফরমালিন, এন্টিবায়োটিক। হলুদে- সিসা। লবণে- তিকর এন্টিবায়োটিক। ফল-এ কার্বাইড, ইথিলিন, ইথোপিন… আমাদের এমন কোন খাবারের বেলা নেই, যে বেলার খাবারে আমারা একটু হলেও বিষ খাইনা… আমরা অভ্যস্ত!
আমরা নিঃসন্দেহে জাতিগতভাবে অসচেতন। আমাদের শরীরে করোনা ঢোকাটাও খুব-ই সোজা। হঠাৎ করে করোনা যদি আমাদের কারো শরীরে ঢুকেই বসে। অবাক হবে! সত্যি অবাক হবে। বলবে, এ কী! আমি এ কোন জায়গায় ঢুকলাম!
এ দেখি আমার চেয়ে বড় বড় Boos বসে, তাস খেলা করছে । করোনা গলার কাছে অবস্থান নিয়ে হয়তো পর্যবেক্ষণ করবে। টার্গেট করবে ফুসফুসকে। কিছুক্ষণ পর দেখবে ইটভাটার চোঙের মত আকিজ বিড়ির উচ্চ নিকোটিন সমৃদ্ধ-ধোঁয়া। ফুসফুসের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। ফুসফুস-ও সানন্দে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। করোনা ভাববে। নিকোটিন হচ্ছে আমার বাপ। সেই যেহেতু এই ফুসফুসকে দুর্বল করতে- ব্যর্থ। সেখানে আমিতো চায়না মাল। কত্ত ভেজাল …!
করোনা শোক- তাপ, আর দুঃখে । আত্মহত্যার জন্য ঝাপ দিবে পাকস্থলীতে। নিচে নেমে দেখবে আরেক বিপদ। এতো গ্যাসের খনি! তাও যেন তেন খনি নয়। মিথেন গ্যাস! কিছুক্ষণ গ্যাসের সাগরে হাবুডুবু খেতে খেতে । তাকে আশার আলো দেখাবে বাতাসের বুঁদবুঁদ। ক্ষণকাল পর সাইক্লোনের বেগে বাতাস নিম্নগামী হতে থাকবে। তীব্র এক আওয়াজ। না, এটা নাগাসাকি-হিরোসিমার পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজ নয়। এটা বাঙালিদের নিজস্ব প্লান্টে তৈরি পশ্চাৎ বায়ু। অবশেষে পশ্চাৎ বায়ুর কাছে ধরাশায়ী হয়ে শলীল সমাধি ঘটবে করোনার। করোনার পরিণতি দেখে। তাসের আড্ডায় মগ্ন ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক, সিসা, ফরমালিন, নিকোটিন হো হো করে হেসে বলবে-Fools Covid-19 rush in where angels fear to tread (দেবদূতরা যেখানে ভয় পায়, বোকা করোনারা সেখানে আগে ধায়।)
লেখক একারণেই লিখেছেন – ” একটি COVID-১৯ এর অকাল মৃত্যু। ”
ওবায়দুল কাদের সাহেবের উক্তি- ‘করোনার চেয়ে আমরা শক্তিশালী।’ (প্রমাণিত)।
লেখক : বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী