একদিনেই আড়িয়াল বিল ভ্রমণ

পিবিএ, ঢাকা: সুনীল আকাশ, টলটলে বিলের জল। কখনোবা বিলের মাঝে একখণ্ড দ্বীপ। মরিচবাড়ি ডাঙ্গা নামের দ্বীপের মতো জায়গায় নেমে সবুজে একরাশ মুগ্ধতা। মাথার ওপর কিচিরমিচির পাখির ডাক, আলস্য বিকেল, নৌকার ছইয়ে শরীরে এলিয়ে চোখ চলে বিস্তীর্ণ জলরাশির ওপর। অদূরে কিশোর-কিশোরীদের নৌকায় চড়ে মাছ ধরা, শাপলা তোলা দেখে কেটে যায় বেলা।

মন জুড়িয়ে যায়, শরীরে আসে অদ্ভুত ব্যাখ্যাহীন আবেশ। মাত্র একদিনেই ঘুরে আসা যেতে পারে ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের আড়িয়াল বিল।

আড়িয়াল বিল ঢাকা থেকে প্রায় ৪২ কিঃমিঃ দক্ষিণে মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত শ্রীনগর উপজেলায় অবস্থিত। এর আয়তন ১৩৬ বর্গ কিলোমিটার।

আড়িয়াল বিল পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে অবস্থিত ও মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত একটি অবভূমি। এটি দেশের মধ্যাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বিল। আড়িয়াল বিলের বেশিরভাগ এলাকাই শুষ্ক ঋতুতে আর্দ্র থাকে এবং বিলে যথেষ্ট পরিমাণ পানি সঞ্চিত থাকে। বর্ষায় পানিতে টইটুম্বুর থাকলেও শীতকালে এটি বিস্তীর্ণ শস্য ক্ষেতে পরিণত হয়। এখানে শীতকালে নানা ধরণের সবজির চাষ করা হয়, এ বিলের বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে বিশাল আকৃতির মিষ্টি কুমড়া।

যেভাবে যাবেন:

ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়াগামী যেকোনো বাসে চড়ে নামতে হবে শ্রীনগরের ভেজবাজার। ভাড়া ৭০ টাকা। শ্রীনগরের ভেজবাজার থেকে ব্যাটারি চালিত রিকশা নিয়ে সোজা যেতে হবে গাদিঘাট। ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। গাদিঘাট থেকে ট্রলার কিংবা নৌকা ভাড়া করে ঘুরে আসুন আড়িয়াল বিল। নৌকা বা ট্রলারের ভাড়া নির্ভর করে সময়ের উপর। ৩০০ থেকে ১,০০০ টাকার মধ্যে ভালোভাবেই ঘুরে দেখতে পারবেন বিলটি।

তাছাড়া ঢাকার গুলিস্তান থেকে মাওয়াগামী যেকোনো বাসে চড়ে নামতে পারেন ষোলঘর বাস স্ট্যান্ড। ভাড়া ৬৫ টাকা। ষোলঘর বাস স্ট্যান্ড নেমে, রাস্তা পার হয়ে ঢুকবেন ষোলঘর বাজারে। ষোলঘর বাজার থেকে নৌকা ভাড়া করে ঘুরে দেখতে পারবেন আড়িয়াল বিল। ভাড়া পড়বে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। মাঝিকে বলে রাখতে হবে কালিবাড়ি দিয়ে আড়িয়াল বিল যাবেন।

অটোটে গাঁদিঘাট অর্থাৎ আড়িয়াল বিলের কাছে নামিয়ে দেবে। এরপর ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভাড়া করে ঘুরুন। দুই থেকে ৫ জন মিলে গেলে ভালো হয়। নৌকায় ঘণ্টা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা নেবে। তাহলে নোকা খরিচ প্রতিজন ৫০-৭০ পড়বে।

মিরপুর থেকে মাওয়াগামী বাস আছে, আব্দুল্লাহপুর-বাড্ডা-মালিবাগ হয়ে যায়। এই বাসের নাম প্রচেষ্টা পরিবহণ।

এই সল্প ট্যুরের সাথে যোগ করতে পারেন মাওয়া ঘাট থেকে ইলিশের ভর্তা, বেগুন ভাজা আর ইলিশ ভাজা দিয়ে সুস্বাদু খাবার। টাকা টা উসুল হয়ে যাবে ইলিশের স্বাদে।

পিবিএ/এমটি/এইচএইচ

 

আরও পড়ুন...