এক দিনে দুর্নীতির পৃথক দুটি মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ঢাকার পৃথক দুটি আদালত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এই রায় দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন মির্জা আব্বাস।
রায়ে বলা হয়েছে, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে মামলার দায় থেকে খালাস দেওয়া হলো। ২২ আগস্ট এ মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষের কৌঁসুলিদের যুক্তিতর্ক শুনে রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন।
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মামলা করে দুদক। মামলায় ২০০৮ সালের ১৪ মে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। আদালত দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০০৮ সালের ১৬ জুন মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে ২৪ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ দিকে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম আজ এ আদেশ দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম। পিপি মীর আহমেদ জানান, মির্জা আব্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি প্রত্যাহার চেয়ে দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবী ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মাহফুজুল ইসলাম।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, মির্জা আব্বাস চার–দলীয় জোট সরকারের সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী থাকার সময় প্যাসিফিক কেমিক্যালস নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ১৯ দশমিক ৪৪ কাঠা জমি বরাদ্দ দেন। জমি বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে মির্জা আব্বাসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে মামলা হয়। সেই মামলাটি দুদক প্রত্যাহারে আদালতের কাছে আবেদন করেন। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করায় মামলা থেকে রেহাই পেলেন মির্জা আব্বাস।