একদিনে ৬৩৫৯ স্পট পরিদর্শন ও ৪৪৬৮ ‘মশার প্রজননস্থল ‘ধ্বংস

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ মশক নিধন অভিযানে একদিনে ৬৩৫৯টি স্পট পরিদর্শন ও ৪৪৬৮টি ‘মশার প্রজনন স্থল’ ধ্বংস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর ) ডিএনসিসির প্রতিটি এলাকায় একযোগে পরিচালিত মশক নিধন কার্যক্রম ৯৭৩ জন মশক কর্মী অংশ নিয়েছে। মশক নিধন কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগের তদারকি টিম এবং ডিএনসিসির তদারকি টিম। মঙ্গলবার ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে সকালে পরিচালিত লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম ও বিকালে পরিচালিত এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে তদারকি স্থানীয় সরকার বিভাগের ও ডিএনসিসির তদারকি টিম।

উল্লেখ্য, ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হতে নাগরিকদের রক্ষাকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল বিনষ্টকরণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং লার্ভা ও মশা নিধন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড় তদারকির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব এ. কে. এম, তারিকুল আলম এবং যুগ্মসচিব আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানের নেতৃত্বে তিনটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে দুইজন করে কর্মকর্তা রয়েছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের তিনটি তদারকি টিম এবং ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত দশটি তদারকি টিম দশটি অঞ্চলে প্রথম ধাপে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিচালিত লার্ভিসাইডিং এবং দ্বিতীয় ধাপে বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত পরিচালিত এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করে।

নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা বাসাবাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে এবং ওষুধ ছিটায়। কিন্তু বাসাবাড়ির ভিতরে আমাদের কর্মীদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই নিজেদের বাসাবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’

মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেন কর্মকর্তারা এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করা হয়।

উল্লেখ্য, আগামী এক সপ্তাহ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এই তদারকি কার্যক্রম চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন...