মিফতাহুল জান্নাত: দেশের মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত মানুষের করোনাভাইরাসের চেয়ে এখন ভাতের দুশ্চিন্তা বেশি। কেননা, একদিন কাজ না করলে তারা খাবে কি, ভাত না ভাইরাস!
ঢাকা না ছাড়লে এদেরকে খাওয়াবে কে, কিভাবে খাবে? আমি তাঁদের কোন দোষ দেখি না।
করোনা আতঙ্ক থাকলেও সব বাধা উপেক্ষা করে এক বেলা খাবার যোগানোর আশায় বাধ্য হয়েই কর্মস্থলে ফিরছিলো হাজার হাজার গামেন্টস শ্রমিক, বেসরকারি চাকরিজীবীরাও।
তাদের চোখে মুখে করোনার ভয় থাকলেও তাদের একটাই কথা, করোনার ঝুঁকি থাকলেও জীবিকার তাগিদে কর্মস্থলে পৌঁছতেই হবে। না হলে চাকরিটা বাঁচানো যাবে না।
এর পরেও তারা রেহাই পেলোনা। কর্মস্থলে যাওয়ার পর যখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আবারও কারখানা গুলো বন্ধ হলে তারা এক মুঠো ভাতের আশায় বাড়ির দিকে ছুটছে।
কেউ’বা করোনা উপসর্গ নিয়ে, কেউ’বা করোনার ভয় নিয়ে বাড়ি ফিরছে। এতে করে বিপাকে পড়ছে তাদের পরিবার সহ এলাকার সকল লোকজনও। কিন্তু তবুও তারা থেমে নেই। এভাবেই ভাতের আশায় পুরো দেশে ছড়াচ্ছে ভাইরাস!
আরেক দিকে নিম্ন আয়ের মানুষদের ঘরে খাবার পৌঁছে না দিয়ে উল্টো তাদের ডেকে আনা হচ্ছে এক জায়গায়। এতে করে সামাজিক দূরত্ব মানা তো দূরের কথা ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে স্বাস্থ্য নিরাপত্তারহানী হচ্ছে।
ত্রাণের নামে অশ্লিল ফটোসেশন আর প্রচারের লোভে তারা কী ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছেন তারা হয়তো বুঝতে পারছেন না৷’ ‘কিছুটা অন্ধকার ঘরে সাপের মতো!
লেখক: মিফতাহুল জান্নাত
শিক্ষার্থী : গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি