‘একান্নটি জলপদ্ম তোমার হাতে’

ziaul

মানবী সাগর, পিবিএ : ছড়া শুধু কানেই বাজে না, প্রাণেও বাজে। যে ছড়া যত বেশি বাজবে, পাঠককে যত বেশি নাড়া দেবে, সে ছড়া তত বেশি সার্থক। ছড়া সহজবোধ্য ভাষায় জীবনের কথা বলে, ছন্দে আঁকে সময়কে। দেড় হাজার বছরের সমৃদ্ধ ছড়া সাহিত্যের পরতে পরতে জড়িয়ে গেছে ছন্দের দ্যোতনা, বিধ্বংসী সুর, কখনোবা ঝকঝকে তরবারির মতো আতীব্র প্রতিবাদ। আদিতে সাহিত্য রচিত হতো মুখে মুখে এবং ছড়াই ছিল সাহিত্যের প্রথম শাখা বা সৃষ্টি। সাহিত্য লেখ্যরূপে পাওয়ার আগে মানুষ ছড়ায় ছড়ায় মনের ভাব প্রকাশ করত।

সাহিত্যের ক্রমবিবর্তনের ইতিহাসে ছড়ার বিকাশ ও উৎকর্ষ আমাদের চোখে পড়ছে। বাংলা সাহিত্যের আদি সৃষ্টি বা নিদর্শন চর্যাগীতির প্রথম পদটি ছড়ার মূল ছন্দ স্বরবৃত্তে লেখা এবং এটি ছন্দ-মিলে রচিত। এই পদটি বাংলা সাহিত্যের আদি ছড়া বললেও ভুল হবে না। তাই ছড়ার জন্য এখনো জিয়াউল জিয়ার মতো কেউ কেউ ‘একান্নটি জলপদ্ম হাতে’ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। প্রেম তো প্রকৃতি এবং মানব জীবনেরই অংশ… ‘একান্নটি জলপদ্ম তোমার হাতে’ নিয়ে তাই প্রেমমুখরতায় মুগ্ধ জিয়াউল জিয়া বারবার দয়িতার কাছে ফিরে গিয়েছেন, শরীর ও মন দিয়ে স্পর্শ করতে চেয়েছেন প্রেমিকাকে।

নারীর প্রতি পুরুষের স্বাভাবিক আকর্ষণে তিনি সমর্পিত হয়েছেন। অভিমান, ব্যাকুলতা, সান্নিধ্য পিপাসা কিংবা অশ্রুপাত তার প্রেমিক সত্তার অনিঃশেষ অংশমাত্র। জিয়ার ছোট্ট ছোট্ট ছড়ায় জড়িয়ে আছে প্রবল আবেগ। এই আবেগের ভেলায় ভেসে তিনি পকেট ভর্তি মুদ্রার ঝনঝানানির বদলে উড়িয়ে দিয়েছেন ভালবাসা। ‘একান্নটি জলপদ্ম তোমার হাতে’র পাঠ পাঠককে নিঃসন্দেহে দেবে এক অনুপম আস্বাদন।

পিবিএ/এমএস/জিজি

আরও পড়ুন...