পিবিএ,বান্দরবান: বান্দরবানে গত এক সাপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণ এখনো অব্যাহত রয়েছে। টানা এই বর্ষণের ফলে পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।বান্দরবান-চট্রগ্রাম সড়কের সাতকানিয়া বাজালিয়া এলাকা প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সড়কে যানবাহন আটকা পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। নৌকায় পারাপার হয়ে বান্দরবান ও চট্টগ্রামগামী লোকজন চলাচল করেছেন।
অনেকেই চলছেন ভ্যান যোগাযোগে। এখনো বান্দরবানে গুটি গুটি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায়-রাঙ্গামাটির সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এদিকে টানা বর্ষণ ও সাঙ্গু নদীতে উজানের পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলা শহরের আর্মিপাড়া, ইসলামপুর, উজানীপাড়া, শেরে বাংলা নগরে, কাশেম পাড়া, বাস ষ্টেশন এলাকা, হাফেজ ঘোনাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লামা উপজেলার বেশ কিছু এলাকা পানির নিছে তলিয়ে গেছে।আলীকদম সড়কের বিভিন্ন জায়গা পানিতে তলিয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়েগেছে।এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধনে এবং পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় জেলার সদরের সাথে রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো.দাউদুল ইসলাম জানান, বন্যা ও দূর্যোগে যেকোন ঝুকি মোকাবিলার জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এছাড়াও পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে ত্রাণ তৎপরতা চালানো হচ্ছে।পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। পুরো জেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে ১২৬ টি। আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবার বিতরণ করছে প্রশাসনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টান।
পিবিএ/আরপি/বিএইচ