পিবিএ,ঢাকা: রাজধানীর লালবাগ কেল্লার সামনে থেকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) এক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চুরি হয়। এই ঘটনায় ওই কর্মকর্তার দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে মোটরসাইকেল চুরি চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে লালবাগ থানা।
পুলিশ জানায়, যেসব মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত লক দেওয়া থাকে না এবং দুর্বল লক সেসব মোটরসাইকেলকে টার্গেট করত চক্রটি। এরপর চক্রটি তাদের কাছে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ডেই মুহূর্তের মধ্যে মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেত তারা। পরবর্তীতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় চোরাই এসব মোটরসাইকেল বিক্রি করত তারা।
গ্রেফতাররা হলেন- চক্রের মূলহোতা সোহেল ও তার সহযোগীরা- সুনিল, হুমায়ুন, হৃদয়, আওয়াল ও স্বাধীন। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করা ১০টি মোটরসাইকেল ও মোটরসাইকেল চুরিতে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ নকল চাবি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জাফর হোসেন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, যেসব মোটরসাইকেলে অতিরিক্ত লক দেওয়া থাকে না এবং দুর্বল লক সেসব মোটরসাইকেলকে টার্গেট করত চক্রটি। এরপর চক্রটি তাদের কাছে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ সেকেন্ডেই মুহূর্তের মধ্যে মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেত তারা। পরবর্তীতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় চোরাই এসব মোটরসাইকেল বিক্রি করত তারা।
ডিসি জাফর হোসেন বলেন, গত মাসের ২৪ তারিখে লালবাগ কেল্লার সামন থেকে এক এনএসআই কর্মকর্তার মোটরসসাইকেল চুরি হয়। লালবাগ থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করলে শুরু তদন্ত কার্যক্রম। প্রথমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এলাকা থেকে চোর চক্রের দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শরীয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জ থেকে চক্রের বাকিদের গ্রেফতার হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, লালবাগ জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) কে এন রায় নিয়তির নেতৃত্বে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। চোর চক্রের অন্যতম হোতা সোহেল গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিলো। চোর চক্রের সদস্যরা নকল চাবি ব্যবহার করে মুহূর্তেই মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেত। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।