এবং ! জীবনের আসা যাওয়া

শতাব্দী আলম

অসাবধানতা বশতঃ
একটি ফুলের চারা দুমড়ে গেলো

গতকালের বৃষ্টিতে সবে সতেজতার স্বপ্ন দেখছে
রঙিন ফুল ফুটাবে
পশ্চিমের দেয়াল পড়ন্ত রোদের বাধা
দুপুর পর্যন্ত বেশ অনায়েসে আসতে পারতো
একটি বড় পেপে গাছ আর আতা ফলের ছায়া
তবুতো পাতাগুলো যখন বাতাসে হেলে দুলে
রোদের দেখা মেলে
আধ বেলার আলো বেড়ে উঠার জন্য যথেষ্টই ছিলো
আর একটি বর্ষা শেষে
ফুল ফুটতো

নতুন কুঁড়ি পড়ে আছে মাটিতে
একটি রঙিন ফুলের চারা
অসাবধনতা বশতঃ
হাড়িয়ে গেলো একটি নতুন স্বপ্ন।

হৃদয়ে আবেগ অনুভূতি দুঃখিত মর্মাহত
এখন এসব কিছু করে আর কিইই বা হবে
সব কিছু যে শেষ
একটি সতেজ চারা
নতুন ফুল আর সৌন্দর্য্য
অর্ন্তনিহীত আরো কত কি !
সবুজ পাতার অক্সিজেন প্রতিদিন দুয়ার খুলেই
নিঃশ্বাসে মিশেছে
চোখ জুড়াতো আর চোখের জ্যোতিও বাড়ায় সবুজ
সবকিছু দুমড়ে মুচড়ে গেলো
একজন মানুষের অসর্তকতায়

আরো সর্তক হওয়া উচিত
সচেতনতা বিবেকের তাড়না এবং অনুভূতি

মানুষ এবং মানুষের বিবেক দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা
আর আছে ইবলিস করোনা এবং অসাবধনতা
প্রতিদিন কথায় কাজে চিন্তায় মানুষ হতে হবে
সর্তক এবং সচেতনতার পরীক্ষা নিচ্ছে করোনা

যারা অসচেতন
দুমড়ে যাচ্ছে তাদের জীবন।
মাঝে মাঝে দুমড়ে-মুচড়ে দিচ্ছে আশপাশের সব কিছু
সকালের চারা গাছটির মত।

চৌদ্দই জুন দুই হাজার বিশ সকালে
একটি চারা গাছ পরিচিত মানুষ একজন
এরাতো খুব কাছের ছিলো
অসাবধনতা বশতঃ চলে গেলো
এই করোনা কালে।

এখনো সময় আছে
বুঝতে হবে জীবন এবং পরিবেশ
সর্তকতা সাবধনতা করোনা আর মৃত্যু
যখন লিখছি এই বর্ণটিও হতে পারতো শেষ মুহুর্ত
সাক্ষাত মৃত্যু করোনা ভাইরাস

এটাতো অবধারিত জন্মিলে মরিতে হবে
তাই বলে অসাবধনতার ফলে
কেন করোনা কালে ?

করোনা জয় হবেই হবে
সর্তকতা সচেতনতা আর বিবেক জাগ্রত হোক
পৃথিবী চলুক তার মত করে
এবং জীবনের আসা যাওয়া।

তারিখ : ১৪ জুন ২০২০
নবাবগঞ্জ

আরও পড়ুন...