পিবিএ,বাগেরহাট: প্রকৃতি জানান দিচ্ছে শরতের উপস্থিতি। কিন্তু দেরি সইছে না চাষিদের। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা লোকসান পুষিয়ে নিতে আগাম টমেটো চাষে ঝুঁকছেন। ভালো বাজারদর পেতে শীতকালীন টমেটো বাজারে তুলতে এখনই মরিয়া হয়ে উঠেছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত মাসের বন্যায় সবজিক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। বর্ষাকালীন সবজি লাউ, কুমরা, করলা, শশা চাষ করে লোকসান গুণতে হয়েছে তাদের। এ বছর বন্যায় তাদের সর্বশান্ত করে রেখে গেছে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আগাম টমেটো চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন এসব চাষিরা। এলাকার চিংড়ি ঘেরের পাড়ে শত শত হেক্টর জমিতে টমেটো লাগিয়েছেন তারা। রাত-দিন সমান তালে ক্ষেতের পরিচর্যায় সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগাম টমেটো চাষের মাধ্যমে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
উপজেলার চরবানিয়ারী পশ্চিমপাড়া গ্রামের টমেটো চাষি আশীষ গাইন জানান, অতি বৃষ্টির কারণে এ বছর সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কাজে নির্ভরশীল এলাকার মানুষ। এখানকার চাষিদের আবাদকৃত সবজি থেকে দেশের বড় চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। চট্রগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার সবজি চালান হয়ে থাকে।
কৃষ্ণনগর গ্রামের আরেক টমেটো চাষি কানাই মজুমদার জানান, তিনি ৮ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। এলাকার ৭টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার চাষি এ বছর ব্যাপক ভাবে জমিতে আগাম উচ্চফলনশীল জাতের টমেটো আবাদ করেছেন। এসব জমিতে উচ্চফলনশীল জাতের লাভলী, বিউটি, হাইটম, বিপুলপ্লাসসহ নানা জাতের টমেটোর চারা লাগিয়েছেন তারা। অবহাওয়া ভালো থাকলে আগাম টমেটো বাজারে তোলা সম্ভব হবে। এসব টমেটোর ভালো বাজার দর পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার ঋতুরাজ সরকার জানান, কৃষিকাজে এখানকার চাষিরা বেশ তৎপর। বিশেষ করে সবজি চাষে চাষিরা বেশ সাফল্য এনেছেন। আগাম টমেটো চাষের প্রতি দিনদিন চাষিরা ঝুঁকছেন। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে চাষিদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ নানা কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি টমেটো চাষের জন্য সবধরণের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।
পিবিএ/শেখ সাইফুল ইসলাম কবির/এসডি