পিবিএ,হিলি(দিনাজপুর): দিনাজপুর জেলার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত সীমান্তবর্তী হিলি-হাকিমপুর উপজেলা।সামনে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে হিলির খামারীরা।উপজেলা সফল গরু খামারী হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত ছাতনী গ্রামের মাহফুজার রহমান বাবু।
উপজেলা সদর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে ছাতনী গ্রামে বাবুর খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দেশী ও বিদেশী জাতের বিভিন্ন গরু লালন-পালন করার দৃশ্য। তবে চোখে পড়ে সাদা রঙ্গে একটি বৃহ আকারের গরু। তার সর্ম্পকে জানতে চাইলে খামারী বাবু বলে শখের বসে নাম রেখেছি “বিন লাদেন”।দাম হাকানো হচ্ছে ১৫ লক্ষ টাকা,সাথে ফ্রী থাকছে দেশীয় প্রজাতির একটি ষাঁড় গরু।
গরু খামারী মাহফুজার রহমান বাবু জানান,আমার শখ ছিলো কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বড় একটি গরু লালন-পালন করবো। চার বছর আগে স্থানীয় প্রাণী সম্পদ অফিসের সহযোগিতায় খামারের একটি গরুর গর্ভে নেওয়া হয় ব্রাহমা জাতের বীজ। এটি জন্ম হবার পর থেকেই সর্ম্পূন দেশীয় ও প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে লালন-পালন করে আসছি। সাদা-কালো বর্ণের ব্রাহমা জাতের “বিন লাদেনের” উচ্চতা ৫ ফুট ৩০ ইঞ্চি,লম্বায় ১১ ফুট ৬ ইঞ্চি,যার ওজন প্রায় ১১শ কেজির উপরে। তবে গরুটির পিছনে আমার খরচ হয়েছে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। ক্রেতার আকর্ষণ করাতে নাম রেখেছি “বিন লাদেন”। বিক্রির জন্য দাম রেখেছি ১৫ লক্ষ টাকা।
তবে তিনি আরো জানান,যিনি “বিন লাদেন”কিনবেন তার কাছ থেকে তাকে পুরুষ্কার স্বরুপ একটি দেশীয় জাতের ষাঁড় ফ্রি দিবো। তার দাবি উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় আকারের গরু এটি।তবে এখন পর্যন্ত কোন ক্রেতার সাড়া না পাওয়ায় হতাশ তিনি।
হাকিমপুর প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন রতন কুমার জানান,আমাদের উপজেলায় দৃষ্টি নন্দন হয়ে উঠেছে এখন বিন লাদেন।আমরা সার্বক্ষনিক আমাদের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ধরনের পরার্মশ দিয়েছি খামারীকে।যেহেতু গরুটি ওজনের অনেক বেশি স্থানীয়ভাবে বিক্রি না হল্ওে ঢাকায় এ ধরনের গরু বিক্রি ভালো হয়। আমরা চেষ্টা করছি ঢাকার ক্রেতার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে গরুটি বিক্রির করার জন্য।যাতে আমাদের খামারী কাঙ্খিত দাম পায়।
পিবিএ/মোঃ-সোহেল রানা/এসডি