পিবিএ,ডেস্ক: নিজেদের তৈরি করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে চীন। এটাই চীনা সরকারের অনুমোদন পাওয়া প্রথম কোভিড-১৯য়ের ভ্যাকসিন। এর আগে রাশিয়া তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে।
চীনের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চেন ওয়ের একটি টিম এই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করেছে। প্রথম দু’টি ধাপে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর এই ভ্যাকসিনের সফলতার পরই চীন সরকার এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল।
চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের (সিজিটিএন) এক টুইট বার্তায় দেশটির প্রথম ভ্যাকসিনের অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দু’টি ধাপেই পরীক্ষামূলক প্রয়োগে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্যের বরাত দিয়ে সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, করোনার এই ভ্যাকসিনটি নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে কার্যকর।
ভ্যাকসিনটি ৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। প্রথম ধাপের ট্রায়ালে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ৯৬ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ২২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে।
সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফলে ভ্যাকসিনটি কার্যকরভাবে স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে নিরপেক্ষ অ্যান্টিবডি তৈরি এবং রোগ প্রতিরোধে সক্ষমতা দেখিয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। চীন থেকে এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে তাণ্ডব চালাচ্ছে।
চীন থেকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলেও ইতোমধ্যেই তারা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রাজিল, ভারত, স্পেনের মতো দেশগুলোও যখন করোনার সঙ্গে পেরে উঠছে না তখন চীনে সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, চীনে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৮৪ হাজার ৮৪৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৯ হাজার ৬০৩ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই এখন সুস্থ।
পিবিএ/এমআর