এবার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পাবে ভুটান

bangladesh-vutan-PBA

পিবিএ,ঢাকা: ভারতের পর এবার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পাবে ভুটান। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তি এবং প্রটোকলের আওতায় এ ট্রানজিট সুবিধা দেবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে প্রাথমিক স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরের (এসওপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে ঢাকা।

সড়ক, রেল ও নৌপথ ব্যবহার করে সরাসরি পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এসওপির প্রাথমিক খসড়াতে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে রবিবার বিকেলে সচিব মো. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ-ভুটান যৌথ কারিগরি কমিটি নিয়ে প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় এপ্রিলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বাংলাদেশ সফরের আগে দুই দেশের সম্ভাব্য চুক্তির অংশ হিসেবে প্রস্তুতি নিতে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট বিষয়ক এসওপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।

এসওপির চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ জানান, ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য পরিবহনে প্রাথমিক খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এটি উচ্চ পর্যায়ের চূড়ান্তকরণ সাপেক্ষে ভুটানকে পাঠানো হবে। তারা কোনো সংশোধনী না দিলে এটাই চূড়ান্ত হবে।

ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট ফির বিষয়ে তিনি জানান, একটি আলাদা কমিটি রয়েছে। তারাই ফি নির্ধারণ করবে। তবে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট ফি এবং অন্যান্য চার্জ ভারতকে দেয়া ফি ও চার্জের কাছাকাছি হবে বলে ধারণা দেন তিনি।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে সড়ক, রেল ও নৌ পথে ভারতের ওপর দিয়ে ভুটানের পণ্য পরিবহনের বিষয়ে বাংলাদেশ আগেই নীতিগতভাবে সম্মত। খসড়া এসওপিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার নৌ প্রটোকল বা ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড’ (পিআইডব্লিউটিটি) এর যে রুটগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে থেকেই ব্যবহার করবে ভুটান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হয়েছিল ১৯৮০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ৭ নভেম্বর নতুন করে আবারও সই হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর নবায়ন করা হয়। এ বাণিজ্য চুক্তির প্রটোকলও একইভাবে ১৯৮০ তে সই হয় এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর সই করা হয়। আর দুই দেশের মধ্যে ট্রানজিট বিষয়ক চুক্তি হয়েছিল ১৯৮০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থিম্পু সফরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট ব্যবহার নিয়ে ভুটানের চুক্তি হয়েছিল। এরই আওতায় এসওপি চুক্তির মাধ্যমে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পাবে ভুটান।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হালুয়াঘাট ও নাকুগাঁও স্থলবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশটির সঙ্গে বুড়িমারী ও তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। এ ছাড়া ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার আওতায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে ঢাকা। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানি ও আমদানি করার সুযোগ চাইছে ভুটান। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভুটানকে ট্রানজিটের আওতায় এ দুটি বন্দরও ব্যবহার করতে দেয়া হবে।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...