পিবিএ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : ঠিকাদারী পেতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুলকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি এ ডায়েরী করেন।
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রারের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান প্রকৌশলীর আবেদনের বিবরণ থানায় সাধারণ ডায়েরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।তার জিডি নাম্বার ৬৫৭।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বর্তমানে ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলছে। ৩০ মার্চ ও ৬ এপ্রিল ৫৩ কোটি টাকা করে ১০৬ কোটি টাকার দুটি দরপত্র খোলা হবে। এই দরপত্রের মধ্যে একটি দরপত্র ঢাকার একটি সংগঠনকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলীমুজ্জামান একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ইবিতে আর চাকরি করা হলো না আমার। রিজাইন করব, ইনশা আল্লাহ।’
জিডি সূত্রে, গত ১৫ দিন যাবত বিভিন্ন সময় তাকে বিভিন্ন অজানা নাম্বার থেকে মেগা প্রকল্পের কাজ পাইয়ে না দিলে সন্তানের ক্ষতি হয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়া হয়। তিনি অপমানিত হবেন, তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিভিন্ন খারাপ কিছু লিখে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার কথাও বলে তারা। তাছাড়া অতীতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেয় তারা। জিডিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গত কয়েক মাস যাবত বিভিন্ন মেয়েদের নাম্বার দিয়ে তাকে ফোন করে এবং মেসেঞ্জারে বিভিন্ন টেক্সট দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে তিনি মানসিকভাবে খুবই ভীত।
জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলীমুজ্জামান টুটুল বলেন, আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নিরাপত্তার খাতিরে আমি প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে থানায় জিডি করেছি।
এখনি চাকরি থেকে অব্যহতি নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ক্যাম্পাসেই থেকে যেতে চাই।
এদিকে, ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন ও আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. কে এম আব্দুস সোবহান।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, এতোমধ্যে ঘটনার তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের পর তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।