
ঝিনাইদহে মাদক সেবনের দায়ে তিন টিকটক মডেলকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার রাতে শহরের গয়েশপুর মাস্টারপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে মদ্যপ অবস্থায় তাদের আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন- শহরের পবাহাটি গ্রামের তোফাজ্জেলের মেয়ে টিকটক মডেল সাদিয়া আনজুম তুলি, পাগলাকানাই বাকা ব্রিজ এলাকার রিটুলের ছেলে মো. সংগ্রাম ও গয়েশপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সিয়াম হোসেন।
জানা গেছে, রাতে শহরের গয়েশপুর মাস্টারপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে মদ্যপ অবস্থায় আলোচিত টিকটক মডেল তুলিসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে কারদণ্ড দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, মাদক সেবনের সরঞ্জামাদিসহ তুলিসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গত বছর ৩ জুন রাতে ঝিনাইদহ শহরের মহিলা কলেজ পাড়ার একটি বাসা থেকে আপত্তিকর অবস্থায় টিকটক-লাইকি মডেল তুলি ও আশিকুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। পরে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পর জামিনে বের হয়ে আবারো মাদক সেবন শুরু করেন তুলি।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক ও বর্তমান বেতাই ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর যখন তুলিকে আটক করা হয়েছিল তখন পবহাটি, আরাপপুর, মহিলা কলেজ পাড়াসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার কিছু তরুণ-তরুণী এ ধরনের টিকটকের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক সেবন ও ব্যবসাসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছিল। আমাদের কাছেও নিয়মিত এ ধরনের অভিযোগ আসতে থাকে। এমনই অভিযোগে তুলি ও আশিককে আটক করেছিলাম।
শহরের মডার্ন মোড় নতুন ব্রিজ এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিকেল হলেই প্রতিদিন দলবল নিয়ে নতুন ব্রিজে হাজির হন তুলি। সড়কের মাঝখানে গানের সুরে সুরে নাচ করতে থাকেন তারা। আবার সেটি টিকটক ভিডিও তৈরি করেন। তাদের এ কাজের কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। কিছু বললেই গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হন। আর অশ্লীল গালি দেন।