ভোলার চরফ্যাশনে পাতিহাঁসের কালো ডিম নিয়ে চাঞ্চল্যের রেশ না কাটতে ফের সন্ধান মিলল আরো একটি কালো ডিমের। তবে এটি পুরোপুরি কালো না হলেও ধূসর রঙের।
কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানিয়েছে, দেশি হাঁসের ডিমের এমন রং হয় না। তবে বার বার কেন এমনটি হচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত খোদ প্রাণিসম্পদ অধিদফতরও। এটি পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ওই দফতরের কর্মকর্তারা।
তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, কোনো রোগের লক্ষণ নাকি ক্রসের কারণে এমন ঘটনা ঘটছে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউ। এসব ডিম দ্রুত পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে রহস্য উদঘাটনের দাবি এলাকাবাসীর।
হাঁসের মালিক জুলেখা আক্তার বলেন, আমি তিনটি হাঁস পালন করি। তাদের বয়স নয় মাস থেকে এক বছরের হবে। একটি হাঁস ডিম পাড়ে। তবে প্রতিদিন নয়, কখনো কালো আবার কখনো সাদা রংয়ের ডিম পাড়ে। এখন শুক্রবার থেকে শুধু কালো রঙের ডিম পাড়ছে।
চরফ্যাশন পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু জানান, গত দুইদিন ধরে আমাদের বাড়ির পালিত একটি হাঁস কালো ধূসর রঙের ডিম পাড়ছে। এর আগে এমনটি কখনো হয়নি। বিষয়টি প্রাণিসম্পদ অফিসকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত।
চরফ্যাশন জলবায়ু ফোরামের সভাপতি আবু ছিদ্দিক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নাকি ক্রসের কারণে এমনটি হচ্ছে তা পরীক্ষা করে বের করা জরুরি। কারণ, অনবরত এ ডিম খেতে থাকলে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে কিনা তাও বের করা জরুরি।
জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ইউনিয়নে রূপকথার গল্পের মতই সন্ধান মিলল কালো ডিম পাড়া পাতিহাঁসের। সেই ঘটনা সর্বত্র ছড়িয়ে পরার পর এবার নতুন করে আবার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
চরফ্যাশন প্রাণিসম্পদ অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শংকর কৃষ্ণ দাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পেয়েছি। তবে এ ডিমগুলো পুরোপুরি কালো না হলেও ধূসর রঙের। আমরা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, বিষয়টি বিস্ময়কর। এ নিয়ে দুটি ঘটনা ঘটলো। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি অন্য কোনো জাতের সঙ্গে এ হাসটির ক্রস হয়েছে। আমরা স্যাম্পল কালেকশন করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে এর কারণ উৎঘাটনের চেষ্টা করব।