এমন মন্ত্রীই জনসাধারণের কাম্য

পিবিএ-তে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে ঘটনা অবগত হয়েই শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। শিক্ষকরা ধরে নিয়েছিলেন, যেহেতু করোনা-কালের অফিস কার্যক্রম বন্ধ আছে অফিস খুললে সমাধান হতে পারে।

তাদের ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে ৫ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আদেশ জারি করে। শ্যামপুর বহুমুখী হাই স্কুল এন্ড কলেজের ৫০ জন শিক্ষক ও ৮ জন কর্মচারী ৫ মাস পর বেতন পাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির হস্তক্ষেপের কারনেই এটা সম্ভব হয়েছে।

স্কুলের গর্ভনিং কমিটির সদস্য লতিফা খানমের ভাষ্য, ‘শিক্ষামন্ত্রী আন্তরিকভাবে আমাদের সমস্যা অনুধাবন করেছেন। তিনি উপলব্ধি করেছেন যে, কয়েকমাস বেতন না পেলে শিক্ষকরা পরিবার পরিজন নিয়ে কতটা কষ্টে থাকতে পারেন। এটাই মানবিকতা। মানবতার প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষামন্ত্রীর এই মানবতার নজির আমাদের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।’

স্কুলের গর্ভনিং কমিটির সভাপতির ব্যক্তিগত রোষাণলে এতদিন ঔসব শিক্ষক বেতন পাচ্ছিলেন না। স্কুলের ৭ মাস ও এমপিও ৫ মাসের বেতন আটকা ছিল। যে কারনে স্কুলের ৫০ জন শিক্ষক ও ৮ জন কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। কয়েকজন অসুস্থ শিক্ষক ধার-দেনা করে নিজেদের চিকিৎসা চালিয়েছেন বলেও শুনেছি।

শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এই করোনা কালেও বেতন পেয়ে শিক্ষকদের পরিবারে হাসি ফিরে এসেছে। একটি অনন্য মানবতার নজির সৃষ্টি হলো। একজন মন্ত্রী যিনি অধিনস্তদের বিপদের কথা শুনে এগিয়ে এলেন। গুরুত্ব সহকারে সামাধান করলেন। এমন মন্ত্রীই জনসাধারণের কাম্য। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি আপনাকে অভিবাদন।

পিবিএ/এমএ

আরও পড়ুন...