পিবিএ ডেস্ক: এতদিনে জঙ্গি গোষ্ঠি আইএসের হাত থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়েছিল সিরিয়ার সাধারণ মানুষ। এবার আইএস নয় তুর্কি বাহিনীর হামলা থেকে বাচঁতে দিগ্বিদিক ছুটছে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার মানুষ। কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুর্কি হামলার তিনদিনেই এলাকা ছেড়ে ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি’ বলছে, বুধবার তুর্কি সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমেছেন। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত লাগোয়া রাস আল-আইন এবং দরবসিয়া শহর এই দু’দিনেই প্রায় খালি। সিরিয়ার একাধিক মানবাধিকার ও ত্রাণ সংগঠনের দাবি, তুরস্ক যেভাবে লাগাতার বোমা ফেলছে, তাতে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের জীবনে বড় ঝুঁকি রয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইতিমধ্যেই ৩৪২ জন কুর্দি বিদ্রোহীকে মেরে ফেলেছে তাদের বাহিনী। প্রাণ গিয়েছে একজন তুর্কি সেনার। সিরিয়ায় কর্মরত একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, অন্তত ৯ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও।
ন্যাটোর প্রধান তুরস্কের সেনাকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আঙ্কারা তবু অনড়। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘জঙ্গিদের নির্মূল করে তুরস্কের দক্ষিণ সীমান্ত তথা উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই এই অভিযানের লক্ষ্য’।
আমেরিকা সেনা প্রত্যাহারের দিন তিনেকের মাথায় এই অভিযান শুরু তুরস্ক। শুক্রবার ট্রাম্প টুইট করে তিনটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন। তার কথায়, ‘প্রথমত, আমরা হাজার হাজার সেনা পাঠিয়ে এলাকার দখল নিতে পারি। দ্বিতীয়ত, নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে তুরস্কের অর্থনীতিকে গুঁড়িয়ে দিতে পারি। অথবা, দু’পক্ষ রাজি থাকলে আমরা তুরস্কের এবং কুর্দদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতেও তৈরি আমরা।’
পিবিএ/বাখ