চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৪তম জন্মজয়ন্তী

পিবিএ,নড়াইল: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, শিল্পী এসএম সুলতানের শিল্প ও সৃষ্টি কর্ম দেখে এবং অনুপ্রাণীত হয়ে এদেশে আরো গুণী শিল্পী জন্মগ্রহণ করবে। জীবিত সুলতান ছিলেন বোহেমিয়ান জীবনাচরণের অনুসারী এবং নিভৃতচারী। কিন্তু সেই তুলনায় প্রয়াত সুলতান এখন দেশ বিদেশের মানুষের কাছে অনেক বেশি পরিচিত। নড়াইলের সুলতান মেলা আমাদের সেই কথাই মনে করিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার (১২মার্চ) বিকাল সাড়ে ৬টার দিকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠের সুলতান মঞ্চ চত্বরে অনুষ্ঠিত ১০ব্যাপী সুলতান মেলার সমাপনী ও সুলতান পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি (প্রতিমন্ত্রী) এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, শিল্পী সুলতান তাঁর জীবনের মূল সুর ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন,কৃষক এবং কৃষি কাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-এতিহ্য, বিদ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তার শিল্প কর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তাঁর ছবিতে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হালও অনেকটা ফুটে ওঠেছে। তাঁর অংকিত ছবিগুলোতে বিশ^ সভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা ফুটে উঠেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রুপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই গুণী শিল্পী সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে আরো ভালো করে জানা উচিত।

জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি আনজুমান আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিন পিপিএম,সুলতান পদক-২০১৮ প্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু।

বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে এ মেলা শুরু হয় গত ৩ মার্চ। মেলায় গ্রামীণ কুঠির শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ১০০টি ষ্টল বসে।

পিবিএ/এসই/এমএসএম

আরও পড়ুন...