এসব যায়গায় মহিলা পুরুষ স্বেচ্ছায় নগ্ন হয়ে থাকেন!

jarmani-clothless-PBA

পিবিএ ডেস্ক: নগ্নতা মানুষের আদিম রূপ। তাই অনেক প্রকৃতিবাদীই মনে করেন নগ্ন মানুষই প্রকৃত মানুষ। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে এর চর্চা শুরু হয়েছে। যেমন , জার্মানির কিছু কিছু জায়গায় একেবারে নগ্ন হয়ে ঘোরাফেরা করা যায়! হ্যাঁ , ঠিকই পড়ছেন। এসব জায়গায় মহিলা , পুরুষ স্বেচ্ছায় নগ্ন হয়ে থাকেন। এতে নাকি স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। চলুন দেখি ঠিক কোথায় কোথায় প্রকাশ্যে নগ্ন হতে বাধা নেই।

নুড স্পোর্টস ক্লাব: জার্মানিতে ‘ নুড স্পোর্টস ক্লাবে ‘ র সংখ্যা কম নয়। এসব ক্লাব ফ্রি বডি কালচারে বিশ্বাসী , অর্থাত্‍ একান্ত দরকার না হলে শরীর কাপড়ে ঢেকে রাখার পক্ষে নয় তারা। বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ নগ্ন ক্রীড়াসংঘের সদস্য। তারা নিয়মিত জার্মানিতের বিভিন্ন শহরে মিলিত হন।

সাওনায় সবাই নগ্ন থাকেন: সাওনা বা স্টিম বাথ জার্মানিতে বেশ জনপ্রিয়। প্রায় সব শহরেই সাওনার ব্যবস্থা রয়েছে। আর সেখানে মহিলা , পুরুষ একসঙ্গে , নগ্ন অবস্থায় স্টিম বাথ নেন। তবে কেউ চাইলে শুধু মহিলা বা শুধু পুরুষের সাওনাও ব্যবহার করতে পারেন। এটা ব্যক্তিস্বাধীনতার ব্যাপার!

নিজের বাগান বা বারান্দায়: না , খোলা রাস্তায় হঠাত্‍ করে নগ্ন হয়ে হাঁটাহাটি জার্মানিতে চালু নেই। তবে নিজের বাড়ির বাগানে বা বারান্দায় নগ্ন হয়ে ঘোরাফেরায় বাধা নেই। বাড়ি যদি রাস্তার পাশে আর সেই রাস্তা দিয়ে যদি আপনাকে বারান্দায় দেখা যায় , তাহলে জার্মান আইনে সেটা যারা দেখছে তাদের সমস্যা , আপনার নয়। বারান্দা আপনার , নগ্ন থাকার স্বাধীনতাও আপনার।

নগ্ন বিচ ‘: জার্মানিতে কিছু সমুদ্রতট আছে , যেখানে পুরোপুরি নগ্ন হয়ে থাকা যায়। অর্থাত্‍ বিকিনি বা শর্টস পরারও কোনও বাধ্যবাধ্যকতা নেই। এ সব বিচে ‘ এফকেকে ‘ লেখা থাকে। যে কেউ সেখানে যেতে পারেন। তবে অসংখ্য নগ্ন মানুষের মধ্যে পোশাক পরা কাউকে দেখতে খানিকটা বেমানান লাগে। তাই সেখানে যেতে চাইলে , নগ্ন হয়ে গেলেই উত্তম।

নুড পার্ক: শুধু সমুদ্রতট নয় , নগ্নতায় বিশ্বাসীদের জন্য আছে পার্কও। মিউনিখের ইংলিশ গার্ডেন এবং বার্লিনের টিয়ারগার্ডেনের কিছু অংশে নগ্নভাবে ঘোরাফেরা করা যায়। তাই গ্রীষ্মে সেখানে নগ্নদের দেখলে বিস্মিত হবেন না। তবে সব পার্কে নগ্ন হয়ে ঘোরা যায় না। এ সংক্রান্ত সাইন দেখার পর কাপড় খুললে উত্তম।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...