এয়ারপোর্টে “লাগেজ” কাটায় দেশবাসীর কাছে বিচার চাইলেন এক প্রবাসী(ভিডিওসহ)

পিবিএ,ঢাকা: সাউথ আফ্রিকা থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে করে আসা ঢাকা এয়ারপোর্টে আবদুল হক(পাসপোর্ট নম্বর BN 0219054)নামে এক প্রবাসীর দুইটি লাগেজ কেটে মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। খোয়া যাওয়া মালামাল ফিরে পেতে বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ করেও কার্যকর কোন প্রতিকার পাননি বলে তার অভিযোগ।

এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে বুধবার(২৪ জুলাই) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে লাগেজ সংগ্রহকালে তিনি এঘটনা দেখতে পান।

আবদুল হক জানান, সাউথ আফ্রিকার এয়ারপোর্টে দুইটি লাগেজ বুকিং দিয়ে প্লেনে উঠেন। এয়ারপোর্টে নেমে দেখেন তার ব্যাগের তালা ভাঙা আরেকটি কাটা। ব্যাগ থেকে বেশির ভাগ মালামাল নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ করলেও তারা প্রথমে কোন গুরুত্ব দেয়নি, পরে তারা নামে মাত্র একটি অভিযোগ গ্রহণ করেছে।

আবদুল হক আক্ষেপ করে বলেন, আমরা প্রবাসীরা দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার করি না, বিদেশ থেকে দেশে আমরা টাকা আনি। তাহলে কেন এয়ারপোর্টে আমাদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে টাকা এনে দেশের উপকার করে। প্রবাসীদের টাকায় দেশের উন্নয়ন হয়। তাহলে কেন প্রবাসীকে এত অবহেলা করা হয়। এজন্য আমি দেশবাসী কছে বিচার চাই।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফাহিমা মলির একটি ব্যাগ এয়ারপোর্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও দুই আনসার সদস্য মিলে গায়েব করার খবর প্রকাশ পায়। ফাহিমা ও তাঁর স্বজনেরা জানান, গত বছরের ১৫ নভেম্বর ড্রাগন এয়ারের উড়োজাহাজে ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মস্থলে ফেরার সময় ভুলে ব্যাগটি ফেলে যান তিনি। ওই ব্যাগে তাঁর মায়ের স্মৃতিবিজড়িত ও স্বামীর দেওয়া গয়না, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল। উড়োজাহাজ ছাড়ার পর ফাহিমার হঠাৎ মনে পড়ে, তিনি লাগেজটি ফেলে এসেছেন। দ্রুত তিনি ড্রাগন এয়ার কর্তৃপক্ষকে জানান এবং হংকংয়ে নেমে ঢাকার বেবিচক কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যাগ ফেরত পেতে ই-মেইল পাঠান। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে আসেন। তিনি ও ঢাকায় বসবাসরত তাঁর কয়েকজন স্বজন দফায় দফায় বেবিচকের চেয়ারম্যান (সম্প্রতি অবসরে যাওয়া), পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন ও চিঠি পাঠান। অনুরোধ করে বিমানবন্দরের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ থেকে তিনি ব্যাগ চুরির পুরো দৃশ্যটি সংগ্রহ করেন। ব্যাগটি চুরির অকাট্য প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর তিনি আশা করেছিলেন, ব্যাগ অথবা এর মালামাল ফেরত পাবেন। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কারও সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। হতাশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরেছেন ফাহিমা।

প্রবাসীদের অভিযোগ, ঢাকা এয়ারপোর্টে লাগেজ কেটে মালামাল নিয়ে যাওয়া বা ব্যাগ গায়েব করে দেয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যেন দায়সারা। কেউ অভিযোগ করলে তা লিপিবদ্ধ করা ছাড়া যেন আর কিছুই করার নেই তাদের। আর এমনটা প্রমান মেলে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফাহিমা মলির একটি ব্যাগ গায়েব হওয়ার দৃশ্য সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ থাকার পরও ব্যাগটি উদ্ধার না করা এবং অভিযুক্ত পুলিশ ও আনসার সদস্যের ব্যাপারে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন ব্যবস্থা না নেয়া।

পিবিএ/জেডআই

আরও পড়ুন...