পিবিএ ডেস্ক: বর্তমানে ট্রেন্ডে চলছে দুনিয়া। তাই ট্রেন্ডেই ভাসছে সবাই। এ ট্রেন্ড দিয়ে নিজেদের আলোচনায় আনতে চেষ্টা করছেন অনেকে। বাদ যাচ্ছে না শিল্প সংস্কৃতিও। তেমনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক ট্রেন্ড ‘বাবু খাইছো’। আর এ থেকেই সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে ‘বাবু খাইছো’ শিরোনামেই গান বেড় করে ফেললেন সংগীত পরিচালক সোলস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য মীর মাসুম ও তার ভাই ডিজে মারুফ।
মীর ব্রাদার্স নাম দিয়ে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশ করলেন র্যাগে টোন ফরম্যাটের র্যাপ গানটি। এরমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে ঈগল মিউজিকের ব্যানারে সদ্য প্রকাশিত ‘বাবু খাইছো?’ নামের গানচিত্রটি। আবেদনময়ী নাচের সঙ্গে ট্রেন্ডের এ গান আভাস দিয়েছে নতুন কিছুর।
৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এই গানটি ইউটিউবে ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর নাগাদ ভিউ অতিক্রম করেছে ১৪ লাখ ৮২ হাজারেরও বেশি। দুই ভাইয়ের যৌথ সংগীতায়োজনে গানটির কথা লিখেছেন ও কণ্ঠ দিয়েছেন মীর মারুফ নিজেই।
তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এ গানটি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। তরুণদের অনেকেই আজকাল তাদের প্রিয়জন, মানে গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডকে ‘বাবু’ বলে সম্বোধন করে। আর এ গানটি কি ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা নাকি তাদের ব্যাঙ্গ করা এ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। একটা আবেগতাড়িত ব্যাপারকে এভাবে শিল্পের মাঝে কিভাবে তুলে ধরে সেটি নিয়েও প্রশ্ন করতে পিছপা হয়নি অনেকে।
এদিকে এ গানের মধ্যে যেসব শব্দ ব্যবহার করে থাকে সেটি এখনকার তরুণ সমাজ হরহামেশাই ব্যবহার করে থাকে। আর তরুণ সমাজের এসব ব্যবহৃত শব্দ কি তাদের হেয় করা নাকি তাদের তুলে ধরা এটি নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। শুধু তাই নয় গানের মধ্যে কিছু অশোভনীয় শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে যেটি মোটেও শোভনীয় নয় বলেও মন্তব্য করেছে অনেকেই। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি যে প্রেমিক প্রেমিকাদের মাঝে দূরত্ব কমিয়ে আনতে পেরেছে সেটি সবারই জানা। এর মাঝে একে অন্যের খোঁজ খবর নিতে পারছেন প্রতিনিয়তই।
তবে সব কিছু ছাঁপিয়ে এই গানটি তরুণ সমাজের মনে জায়গা করে নিলেও গানটি যে তাদের প্রেমকে সম্মানকে ক্ষুন্ন করেছে সেটা সবারই জানা।