ওমর ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

পিবিএ,ঢাকা: সদ্য অব্যাহতি পাওয়া যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

ত ৩ অক্টোবর ওমর ফারুক চৌধুরীর সমস্ত ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্যাসিনো ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানের শুরুতে জনসম্মুখে বিতর্কিত বক্তব্যের পর অনেকটা আড়ালে রয়েছেন তিনি। বিপুল অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেয়া, চাঁদাবাজির টাকার ভাগ ওমর ফারুক পকেটে পুরেছেন এমন খবর রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিলাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান বলেন, তিন কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব দিয়েছেন ওমর ফারুক।

তবে এসব ব্যাংক হিসাব ও সম্পদে কোনো অসঙ্গতি আছে কিনা এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানায় নি বিএফআইইউ।

সময় টিভির সাংবাদিকদের ফোনে রাজী হাসান বলেন, এটা সময়ের ব্যাপার, সবগুলো ব্যাংক একসঙ্গে এলে আমরা কাজ করে প্রতিবেদন দিবো। কিছু দিয়েছি, কিছু প্রসেসে আছে, কোনটা দিয়েছে আর কোনটি দেয়া হয়নি তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না। তবে কাজ হচ্ছে।

তবে, তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য না দিলেও হিসাব জমা দিয়েছে কিনা বা অসংগতি পেয়েছে কিনা এটুকু তথ্য অন্তত জনগণের কাছে তুলে ধরা যেতে পারে বলে মনে করেন সাবেক ডেপুটি গভর্নর।

তিনি বলেন, এখন আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দুর্নীতিবাজদের ধরা শুরু করেছেন, আমি মনে করি সব জায়গায় স্বচ্ছতা থাকা দরকার। কাজেই এখানে গোপনের কিছু নেই। ইউনিট কাজ করুক আর দুদক কাজ করুক বাংলাদেশ ব্যাংক বলুন সবাই আসলে চাপের মধ্যে থাকেন, প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকেন। কারণ এখন রাষ্ট্রীয় শক্তি দুষ্টু লোকদের হাতে চলে গেছে। আপনারা একত্রিত হন, এটা কোনো দল না, এটা হলো অশুভশক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির সমন্বয়।

শুধু ওমর ফারুক চৌধুরী নয় শুদ্ধি অভিযানের পর থেকে এক ডজনের বেশি ব্যক্তির হিসাব তলব ও জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

রোববার রাতে (২০ অক্টোবর) গণভবনে বৈঠকে ওমর ফারুক চৌধুরীকে যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...