থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলগুলোতে রাতভর অভিযান চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। গুলশানের ওয়েস্টিন, রেনেসাঁ, বনানীর শেরাটন, খিলক্ষেতের রিজেন্সি হোটেলে মাদকবিরোধী এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ-বিয়ার জব্দসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, হোটেলগুলোর বলরুম ভাড়া করে নতুন বছর উদযাপনে ডিজে পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল, যেসব পার্টিতে ছিল উদ্যাম নাচ আর মদের বিশেষ আয়োজন। খবর পেয়ে হোটেলগুলোতে অভিযান চালিয়ে মদ-বিয়ার জব্দসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
ডিএনসির ঢাকা মেট্রোপলিটন কার্যালয়ের (উত্তর) উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ জানান, হোটেলটি থেকে ১২৬ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ ও ৩২৬ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শেরাটনে অভিযান চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি।
শামীম আহমেদ বলেন, “থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের অ্যালকোহল বাজারজাতকরণ ও বার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে বার বন্ধ থাকলেও নববর্ষ উপলক্ষে কিছু আয়োজক হোটেলগুলোর বলরুম ভাড়া নিয়ে ডিজে পার্টির আয়োজন করেছিল। যেখানে এসব মদ সরবরাহ করে গ্রাহকদের কাছে পরিবেশন করা হচ্ছিল।”
তিনি বলেন, “ডিএনসির পক্ষ থেকে হোটেল কর্তৃপক্ষগুলোকে বলা হয়েছিল থার্টি ফার্স্টের পার্টির আয়োজনে সেগুলোতে অ্যালকোহল না রাখতে। কিন্তু যারা আয়োজন করেছে তারা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় এটা করেছে। অভিযানের খবর পেয়ে আয়োজকরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে বিস্তারিত তথ্য বের করে এর পেছনে যারা দায়ী সবাইকে আইনের আওতায় আনব।”
রিজেন্সিতে অভিযানের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মুকুল জৌাতি চাকমা বলেন, “অনুমতি ছাড়া অ্যালকোহল মজুত রেখে নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে দেদারসে বিক্রি করা হচ্ছিল। আমরা অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯২ বোতল বিদেশি মদ ও ৩৬৭ ক্যান বিয়ার জব্দ করেছি।”