ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া উপাদানে পুরুষের শারীরিক দুর্বলতা কাটাবে

পিবিএ ডেস্ক: নানা কারণে পুরুষের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। মূলত অনিয়মিত জীবনযাপন, মানসিক চাপ ইত্যাদি শরীরকে দুর্বল করে দেয়। তাছাড়া খাবারে ভেজাল, বায়ুতে দূষণ, পানিতে জীবাণুসহ আরো অনেক কারণ পুরুষের দুর্বলতার জন্য দায়ী।

চিকিৎসকরা মনে করেন, ভেজাল জীবনযাপন থেকে রেহাই পাওয়া সহজ কাজ নয়, আবার একেবারে অসম্ভবও নয়। তবে এক্ষেত্রে ওষুধের চাইতেও প্রাকৃতিক উপাদান বেশি কার্যকরী। আপনার ঘরে থাকা দুটি উপাদানে রয়েছে দারুণ শক্তি। যা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শরীরকে সব দিক থেকে সুস্থ রাখতে সক্ষম।

চলুন জেনে নেয়া যাক খুব সহজ উপায়ে ঘরোয়া দারুণ একটি ওষুধ তৈরির উপকরণ ও প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কে। যা পুরুষের দুর্বলতা কাটাতে সক্ষম।

যা যা লাগবে

২ চা চামচ পেঁপের বীজ, ১ চা চামচ মধু।

তৈরি ও সেবন পদ্ধতি

প্রথমে পেঁপের বীজ বেটে নিন। এবার এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। এই ওষুধটি প্রতিদিন খেলে এনজাইম স্পার্ম কাউন্টের উন্নতি ঘটবে। যাতে আপনার দুর্বলতা অনেকটাই কেটে যাবে। এ ওষুধটি দুর্বলতা কাটিয়ে উর্বরতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরো যা উপকার করে চলুন তা জেনে নেয়া যাক-

* আপনি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়লে পেঁপে এবং মধু মিশ্রিত এই ওষুধটি খাওয়া শুরু করুন। কারণ এতে রয়েছে গ্লাকোসিনোলেট নামে একটি উপাদান, যা সেলের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

*ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে এটি। আবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে। এই ওষুধে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান, যা শরীর থেকে সব রকমের ক্ষতিকর টক্সিন বা বিষ বের করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে এতে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকাও কমে যায়।

* এই ওষুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা পেশি গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তারা এটি খেতে পারেন। কারণ পেঁপে ও মধুতে রয়েছে বেশ কিছু লিপিডস এবং পটাশিয়াম, যা মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

*এ ওষুধটি স্টমার ক্ষতিকর পোকাদের মেরে ফেলে। কারণ স্টমায় এসব ক্ষতিকারক উপাদানের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত হজমের সমস্যা বাড়বে। আর এ ধরনের রোগের হাত থেকে বাঁচতে এই ঘরোয়া ওষুধটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...