ওসি ও দুই এসআই’র বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ

পিবিএ,খুলনা: খুলনার বটিয়াঘাটা থানার ওসি ও দুই এসআই’র বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর নিযার্তনের অভিযোগ উঠেছে।

সুখদাড়া গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য গৌরপদ মন্ডলের ছেলে উত্তম মন্ডল এবং একই গ্রামের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুকুমার সরকারের ছেলে আনন্দ সরকারকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার একদিন পর বিষয়টি স্বীকার করে থানা পুলিশ। চার মাস আগে মৃত এক অজ্ঞাত নারীর দেহ উদ্ধার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামী করে জেলহাজতে প্রেরণ এবং পরবর্তীতে রিমান্ডে আনা হয়। এ ঘটনায় বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের সুখদাড়া গ্রামে নিরিহ মানুষের মাঝে আতংক ও চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নির্যাতন
ওসির বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ জানায় স্বজনরা।

উত্তম মন্ডলের মা লক্ষী রাণী বলেন, “রাতের আধারে আমার বাবারে টাইনে ধইরে ওরা ঘর থেকে নিয়্যা গেছে। এক গ্লাস জল খাইতে চালিও খাতি দেয়নি। আমি পা জড়াইয়ে ধরি, আমারে লাথি মেরে ফেলে দেয়, অকেথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।”

আনন্দ সরকারের মা সুষমা বলেন, আমার ছেলে কী অপরাধ করছে। আমি এর বিচার চাই।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, গ্রেপ্তারের পর ওই দুজনকে এমন নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা বর্ণনা করা যায় না। শরীরের স্পর্শকাতর স্থানও নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি। তাদের মাথার চুলও উপরে ফেলার চেষ্টা হয়। এখন তারা কারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

বটিয়াঘাটা থানার এসআই শেখ আহম্মদ কবির অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, উত্তম মন্ডল ও আনন্দকে বাড়ি থেকে নয়, পানখালি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নির্যাতন করার অভিযোগও সঠিক নয়। তাদের সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ হালদার বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক। পুলিশ যে দুজনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করেছে, তারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বটিয়াঘাটার টেংরামারী এলাকা থেকে ২০/২২ বছরের অজ্ঞাতনামা নারীর লাশ উদ্ধার হয়। সে সময় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়। ওই ঘটনার প্রায় চারমাস পর এসআই জয়ন্ত কুমার হোড় মেডিক্যাল রিপোর্টের পর ৯ জানুয়ারি বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গত ১৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় পানখালী ফেরিঘাট এলাকা থেকে উত্তম মন্ডল ও আনন্দ সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

পিবিএ/ জেডআই

আরও পড়ুন...