কক্সবাজারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

কক্সবাজারে বিস্তৃত মাঠ জুড়ে সোনালী ফসল ধানের ব্যাপক ফলনে বোরো আবাদে বিপ্লব সাধিত হয়েছে।
কক্সবাজারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

পিবিএ,কক্সবাজার: কক্সবাজারে বিস্তৃত মাঠ জুড়ে সোনালী ফসল ধানের ব্যাপক ফলনে বোরো আবাদে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। আর অল্প কিছুদিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা অধিক ফসল পাওয়ার আশা করেন এবং সোনালী ফসল ঘরে তুলবেন । কৃষকদের সচেতনতা, সুষম সার প্রয়োগ ও সরকারের প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্যই এই সফলতা তাদের।

কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ ক ম শাহরিয়ার পিবিএ কে জানান , চলতি মৌসুমে কৃষকরা বোরো আবাদ করেছেন ৫৬ হাজার ৫১২ হেক্টর জমিতে। আর কিছুদিন পরে ফসল তোলা শুরু হবে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পুরো জেলায় ফসল তোলা শেষ হবে বলেও জানান কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।

বোরো আবাদের পাশাপাশি কক্সবাজারে সব্জি চাষেও বিপ্লব সাধিত হয়েছে বলে জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি পিবিএ কে জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বোরো আবাদের মত গোটা জেলায় ব্যাপক সব্জি চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্য মতে ৯ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে এই মৌসুমে সবজি চাষ হয়েছে। বিশেষ করে বাঁকখালী নদী ও মাতামুহুরী নদীর দুই তীরে বরাবরের মতই ব্যাপক সবজি চাষ হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, প্রতি পহক্টরে ৩মেট্রিক টন চালের উৎপাদন হয়ে থাকে। এর বাজার মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা। এছাড়া প্রতি হেক্টর জমিতে শ্রমিক, সেচ ও বিদ্যুৎ বাবৎ খরচ হয়ে থাকে ৬০ হাজার টাকার মত। এপর্যন্ত প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় ফসলে তেমন কোন রোগবালাই যেমন নেই, তেমনি ফলনও হয়েছে বেশী। পাশাপাশি ধানের মূল্যও কম নয়। এতে করে কৃষকরা খুশী।

রামুর গোলাম কাদের জানান, তিনি ৬ হেক্টর বোরো চাষ করেছেন। এবারে পরাগবালাই যেমন পনই, ফলনও হয়েছে বেশী। উখিয়ার চাষি ফরিদ আহমদ জানান, তিনি এই মৌসুমে ৪ একর বোরো চাষ করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলবেন। সার, কীট নাশক ও কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শ নিয়ে তিনি সফল হয়েছেন।

একইভাবে চকরিয়ার রশিদুল আলম, পেকুয়ার সফিকুল, মহেশখালীর ফকির আহমদ, কুতুবদিয়ার আবুল হাসান ও টেকনাফের খলিল জানান, চলতি মৌসুমে তারা সবাই বোরো আবাদে ভাল সফলতা অর্জন করেছেন।

এদিকে কয়েকজন আমদানী কারক জানান, গত কয়েক বছর ধরে এভাবে আউশ, আমন ও বোরো চাষে ব্যাপক সফলতা থাকলেও বিদেশ থেকে চাউল আমদানীর কোন মানে হয়না। এতে করে ভোক্তারা যেমন ঠকে, তেমনিভাবে চাষিরাও তাদের ন্যায্য পাওনা পাইনা।কৃষকরা ধান চাষে উদ্দ্যোমী হলে বাংলাদেশে খাদ্যের সংকট হবে না। বিদেশ থেকে আমদানি না করে রপ্তানী করা যাবে এ ফসল ।

পিবিএ/টিএ/আরআই

আরও পড়ুন...