কক্সবাজারে গুলি করে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী হত্যার ঘটনায় মৌলভীবাজারে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের আগে গোলাম রব্বানীর সঙ্গে হোটেল অবস্থান করা নারীও রয়েছেন। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
গ্রেফতার তিনজনেরই বাড়ি খুলনায়। তাঁদের নাম–পরিচয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, গ্রেফতার তিনজনকে মৌলভীবাজার থেকে কক্সবাজার নিয়ে আসা হচ্ছে। আগামীকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যে পুলিশ জানতে পারে ঘটনায় জড়িত নারীসহ কয়েকজন আসামি মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থান করছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার থেকে জেলা পুলিশের একটি দল মৌলভীবাজারে অবস্থান করে অভিযান শুরু করেন। একপর্যায়ে গতকাল দিবাগত রাতে মৌলভীবাজার থেকে সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানীর সঙ্গে কক্সবাজার ঘুরতে আসা নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হয়। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গ্রেফতার তিনজনই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। তাঁদের মধ্যে ওই নারী কক্সবাজার ঘুরতে এসে কাউন্সিলর রব্বানীর সঙ্গে হোটেলে উঠেছিলেন। গ্রেফতার অপর দুজন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সিগাল হোটেলের সামনে ঝাউবাগানের ভেতরে তৈরি করা কাঠের সেতুর মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় রব্বানীকে। তাঁর বাড়ি খুলনা সিটির দৌলতপুরে। তিনি খুলনা সিটির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর এবং খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সঙ্গে তাঁকেও অপসারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এর আগে খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার এবং কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা মেজবাউল হককে গ্রেফতার করে র্যাব। গত শনিবার দুজনকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।