
মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর গোমা শহরে জেল ভেঙে পালানোর সময় ১৬৭ জন নারী বন্দীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং তারপর জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) কঙ্গোতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম ২৩ গোমা শহর দখল নিলে, শত শত বন্দী সেখানকার মুনজেনজে কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় প্রায় ১৬৫-১৬৭ জনে নারী বন্দীকে ধর্ষণ করে তাদের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় পুরুষ কয়েদিরা। দগ্ধ নারী কারাবন্দিদের অধিকাংশই ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন। জাতিসংঘের এক অভ্যন্তরীণ নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য। সেই নথির একটি অনুলিপি বিবিসির সংগ্রহে রয়েছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের এ তথ্য যাচাই করতে ঘটনাস্থলে প্রতিনিধি পাঠানো সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে।
গোমা কঙ্গোর অন্যতম বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ শহর। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রুয়ান্ডা-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম ২৩ শহরটির দখল নেয়। তারপর থেকে শহরটিতে চরম বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। রাস্তায় মানুষের লাশ পড়ে ছিল, জেল ভেঙে বন্দীরা বের হয়ে আসছিল এবং স্থানীয় লোকজনদের বাড়ির ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছিল।
জাতিসংঘ বলছে, গত তিন দিনের সংঘাতে গোমায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৯০০ জন, যার মধ্যে ২হাজার মরদেহ সমাহিত করা হয়েছে এবং আরও ৯০০ মরদেহ এখনও শহরের মর্গে রয়েছে।
এদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে, বিদ্রোহীরা মানবিক কারণে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে, সূত্র বলছে, বুধবার এম২৩ নতুন করে হামলা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তারা খনির শহর নিয়াবিবওয়ে দখল করেছে বলে জানা গেছে।