পিবিএ : কচু সুপরিচিত একটি সবজি। এর কাণ্ড সবজি এবং পাতা শাক হিসেবে খাওয়া হয়।কচুর কাণ্ড ও পাতা-সবকিছুতেই প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে।
কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিণ, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ডিটারেরী ফাইবার, শর্করা, বিভিন্ন খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে।
নিয়মিত কচু শাক খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যাবে-
১. কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে । এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যা’ন্সার প্রতিরোধ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কচু শাক খেলে কোলন ক্যা’ন্সার প্রতিরো’ধ করা যায়। আরেক গবেষণা বলছে, কচু শাক স্ত’ন ক্যা’ন্সার প্রতিরো’ধে দারুন কার্যকরী।
২. কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এ কারণে এটি দৃ’ষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া চোখ সম্পর্কিত জ’টিলতা কমায়। ৩. কচু শাকে থাকা স্যাপোনিনস,টেনিনস, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্লাভোনয়েড উচ্চ র’ক্তচাপ কমায়।নিয়মিত কচু শাক খেলে হৃদরো’গের ঝুঁ’কিও কমে।
৪. যেহেতু কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এ কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরো’ধ ক্ষমতা বাড়ায়।৫. কচু শাক র’ক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে নিয়মিত এই শাকটি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁ’কি কমে।৬. কচু শাক হজমশক্তি বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
৭. অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় কচু শাক যেকোন ধরনের প্রদা’হ কমাতে সাহায্য করে।
৮. যারা র’ক্তস্বল্পতায় ভূগছে তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা র’ক্তশূন্য’তা দূর করতে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কচু শাক খেলে কারও কারও অ্যালা’র্জির সম্ভাবনা বেড়ে যায় । শরীরে র্যা শ দেখা দেয়, চুলকানি হয়। এ কারণে যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তাদের এই শাক খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেয়া উচিত।
পিবিএ/জেআই